দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভাড মেডিক্যাল স্কুলের একটি গবেষক দল মানব ডিএনএ’তে রিউমাটয়ড আথ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায় এমন নতুন চল্লিশটি স্থানের সন্ধান পেয়েছেন। এই আবিষ্কারের ফলে রোগটির প্রতিষেধক তৈরি সহজ হবে বলে তারা আশা করছেন। খবর বিবিসির।

এটি এ পর্যন্ত করা সবচেয়ে বড় জেনিটিক্যাল গবেষণা। এর জন্য প্রায় ৩০ হাজার রোগীকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।

রিউমাটয়ড আথ্রাইটিস বাত রোগের একটি ধরন। গবেষকরা বিশ্বাস করেন এর ভিত্তিকে এমন ঔষুধ আবিষ্কার সম্ভব হবে, যা একদিন এই রোগ থেকে মুক্তি দেবে।

গবেষণাটি প্রকাশ করা হয়েছে নেচার জার্নালে।

গবেষকরা এই রোগাক্রান্তদের ডিএনএ’কে যাদের এই রোগ নেই তাদের ডিএনএ’র সঙ্গে তুলনা করেন। এতে তারা এ রোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৪২টি স্থান দেখতে পান। এখন বিজ্ঞানীদের কাজ হলো এইসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা।

গবেষণায় নেতৃত্বদানকারী হার্ভাড মেডিক্যাল স্কুলের প্রফেসর রবার্ট প্লেনঞ্জের মতে, এখন থেকে এই রোগের সমাধানে জেনেটিক্যাল চিকিৎসা দেওয়ার পথটি সুগম হলো।

নতুন এই গবেষণা ডায়াবেটিস, অ্যালঝাইমার ও করোনারি হৃদরোগ নির্ণয়েও কাজে দেবে। এছাড়া এই গবেষণায় রিউমাটয়ড আথ্রাইটিসের রোগীর ক্ষেত্রে এসএনপি (সিঙ্গেল-নিউক্লিওটাউড পলিমরফিজম) পাওয়া গেছে। যা নির্দিষ্ট ধরনের ব্লাড ক্যান্সারের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এ ধরনের ক্যান্সারে ব্যবহৃত ঔষুধ রিউমাটয়ড আথ্রাইটিসে কি ফল দেয় তা দেখার কথাও ভাবা হচ্ছে।

(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/এইচকে/ডিসেম্বর ২৮, ২০১৩)