সিলেট সংবাদাতা: তীব্র শীতে সিলেটের জনজীবন ক্রমেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। হার কাঁপুনী শীতে প্রয়োজন ছাড়া বাসা-বাড়ি থেকে বের হতে চাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। শীতের কাঁপুনী থেকে রক্ষা পেতে গরম কাপড়ের বাজারও চাঙ্গা হয়ে উঠছে। তবে দাম বেশি হওয়ায় আগুন তাপিয়ে শীত নিবারণ করছেন জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠী।

বাংলাদঘন কুয়াশার কারণে সকালের সূর্যটাও দেখা হয়না অনেকের। ঘন কুয়াশার কারণে রাতের আঁধারে বাস চলাচালেও বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়া এই শীতে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।

সিলেটে উচু-নিচু পাহাড় আর চা বাগান শীতের প্রকোপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় শীতের তীব্রতা অসহনীয় হয়ে পড়েছে।

শীতের কারণে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ পর্যন্ত শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১০ শতাংশ। গত কয়েক দিনে এ রোগীর সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে। এর মধ্যে শিশুরাই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে বেশি। বয়োবৃদ্ধদের অবস্থা আরও করুণ।

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল জানান, শীতের কারণে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এসব রোগীর চিকিৎসা দিতে হাসপাতালের প্রাক প্রস্তুতিও রয়েছে। এতে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।

নগরীর জিন্দাবাজারস্থ রাজপথে হাঁটতেই কথা হয় ব্যবসায়ী আবুল কাশেম খানের সঙ্গে। তিনি দ্যরিপোর্টকে বলেন, গত বছরে তুলনায় এ বছর শীতের তীব্রতা একটু বেশি। অনেকটা হার কাঁপুনীই। ব্যবসায়ীরাও এই শীতে তাদের প্রতিষ্ঠান একটু আগেই বন্ধ করে বাসা ফিরছেন। কারণ, ক্রেতারাও শীতের কারণে রাতে খুব একটা বের হন না।

(দ্য রিপো্র্ট/এমজেসি/এইচকে/ডিসেম্বর ২৮, ২০১৩)