মাওয়া ঘাট দিয়ে গাড়ি আসা বন্ধ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঢাকার সঙ্গে সড়ক পথে বরিশাল, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরাসহ দেশের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের সেতুবন্ধন তৈরি করেছে মাওয়া ফেরিঘাট। কিন্তু এই ফেরিঘাট থেকে ঢাকা অভিমুখী কোন বাস কিংবা যানবাহন আসতে দেওয়া হচ্ছে না।
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদকের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করে মাওয়া ঘাট থেকে পোস্তাগোলায় আসা মো. আজিবর, আ. রাজ্জাক, মো. রবিউল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন সিএনজিচালক এ অভিযোগ করেন।
তারা বলেন, ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে মাওয়া ঘাট যেতে কোন প্রকার বাধা দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু মাওয়া ঘাট থেকে ঢাকায় আসার পথে শুরুতে পুলিশের বড় চেকপোস্ট আছে। সেখানে কোন বাস ঢাকায় আসতে চাইলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেতে দেওয়া হবে না। এ জন্য কোন বাস ঢাকায় আসতে পারছে না। তবে অল্পসংখ্যক সিএনজি আসতে দেওয়া হচ্ছে। তাও আবার সিএনজি থেকে যাত্রী নামিয়ে রাখা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
সিএনজির চালকরা জানান, ঢাকা থেকে মাওয়া ঘাট একবার যেতে-আসতে আমাদের ২৬০ টাকা খরচ হয়। আর যাত্রী ভাড়া পাওয়া যায় প্রায় ৬০০ টাকার মতো। কিন্তু মাওয়া ঘাট থেকে পুলিশ যাত্রী নামিয়ে রাখার কারণে খালি গাড়ি নিয়ে ঢাকায় আসতে হচ্ছে। ফলে মালিকের কাছে জমা দেওয়ার টাকাও উঠছে না। পরিবারের জন্য রোজগারের বিষয়টি তো পরের কথা।
এদিকে, রাজধানীর পোস্তাগোলা, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ইকুরিয়াসহ বেশ কয়েকটি স্থানে সরেজমিনে গিয়ে কোন প্রকার বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে সীমিত সংখ্যক সিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেট কার চলাচল করতে দেখা গেছে।
পোস্তাগোলার কাছে বুড়িগঙ্গার নদীর উপর নির্মিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর শুরুতে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। মাওয়া ঘাট থেকে ঢাকায় প্রবেশ করা প্রতিটি প্রাইভেট কার, সিএনজি চেক করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদককে বলেন, বাস কেন আসতে দেওয়া হচ্ছে না তা তো আপনারাই ভালো জানেন। উপরের কোন নির্দেশ আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলেছেন কোন গাড়ি ঢাকায় না ঢুকতে দিতে, আর প্রাইভেট গাড়িগুলো চেক করতে।
(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এমএআর/২৮ ডিসেম্বর, ২০১৩)