এক সন্তান নীতি থেকে সরে আসলো চীন
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : অবশেষে এক সন্তান নীতি থেকে সরে আসলো চীন। বিবাহিত দম্পতির মধ্যে একজন যদি তাদের বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান হয়, তা হলে সরকার ওই দম্পতিকে দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেবে।
ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির অধিবেশনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে ৫৫ বছরের পুরানো ‘লাওজিয়াও’ প্রথা বন্ধের ব্যাপারেও দেশটির পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘লাওজিয়াও’ প্রথার অধীনে পুলিশের একটি প্যানেল ছোটখাটো অপরাধে দোষী ব্যক্তিদের চার বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়ে থাকে। কারাভোগের সময় অপরাধীদের বিভিন্ন কলকারখানায় কায়িক শ্রম দিতে হয়। প্রথাটি শ্রমের মাধ্যমে পুনঃশিক্ষা নামে পরিচিত।
সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির ছয়দিনের অধিবেশন শেষে এ সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৯৭০ সালের শেষের দিকে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা সমস্যার মোকাবেলায় এক সন্তান নীতি চালু করে চীন। তবে চীনে ধীরে ধীরে এক সন্তান নীতি অজনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই নীতির ফলে বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দেয়। ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটির মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের বয়সই হবে ৬৫ বছরের বেশি।
সব কিছু বিবেচনা করে এক সন্তান নীতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীনের সরকার। সূত্র: বিবিসি
(দ্য রিপোর্ট/কেএন/এমএআর/ডিসেম্বর ২৮, ২০১৩)