‘দে আর রাবিশ’ বললেন আজাদ
বিএনএফ থেকে আজাদ বহিষ্কার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : স্বেচ্ছাচারিতা, মনোনয়ন বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এর প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি ঢাকা-১৭ আসন থেকে বিএনএফের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনএফের প্রধান সমস্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘দে আর রাবিশ। তারা বিএনএফের কিছুই না।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনএফের কয়েক জেলার নেতারা আবুল কালাম আজাদকে বাহিষ্কারের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে তারা বিএনপির সাবেক নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে বিএনএফের নতুন চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনএফের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ জিয়া। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলার আহ্বায়ক আশরাফ সরকার, গাজীপুরের এমএ সালাম, শরিয়তপুরের আরিফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জের খোরশেদ আলম, ঢাকার এমআর লিটন, মাগুরার আশরাফুজ্জামান প্রমুখ।
তারা অভিযোগ করেন, আবুল কালাম আজাদ বাগেরহাট, ফেনী, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন আসনে একাধিক ব্যক্তিকে দলের মনোনয়ন দিয়ে টাকা-পয়সা নিয়েছেন। ইতোমধ্যে ফেনী-১ আসনে মনোনয়ন পাওয়া দুই ব্যক্তির একজন হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন। আজাদ ও তার মেয়ের জামাই একচ্ছত্রভাবে দল পরিচালনা করছেন। দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব দলীয় ফোরামে উপস্থাপন করেন না। সকল সিদ্ধান্ত তারা একাই নেন।
তারা ঘোষণা করেন, গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে দলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শীঘ্রই কাউন্সিলের মাধ্যমে চেয়ারম্যানসহ পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।
অবশ্য নাজমুল হুদা দ্য রিপোর্টের প্রশ্নের জবাবে দাবি করেন, ‘আমি তো বিএনপিতে ফিরে এসেছি। তাকে চেয়ারম্যান করার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওদের মধ্যে গণ্ডগোল আছে জানতাম। তবে আজকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। দেখি তারা কি করে। আগে জেনে নেই, এরপর মন্তব্য-সিদ্ধান্ত।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনএফের প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘দে আর রাবিশ। তারা বিএনএফের কিছুই না।’
তিনি জানান, আব্দুল্লাহ জিয়া নিজেকেই লেবার পার্টির নেতা পরিচয় দেন।
(দ্য রিপোর্ট/ টিএস/ সাআ/এমএআর/লতিফ/ডিসেম্বর ২৮, ২০১৩)