সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা : হরতাল সমর্থকদের সড়ক অবরোধ, ককটেল বিস্ফোরণ, টায়ারে আগুন অন্যদিকে পুলিশের টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও গুলি বর্ষণের মধ্য দিয়ে রবিবার সিরাজগঞ্জে শুরু হয়েছে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘন্টার হরতালের প্রথম দিন।

ভোর সোয়া ৬টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের কামারখন্দ উপজেলার সীমান্ত বাজার-ধুকুরিয়া আঞ্চলিক সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখে ছাত্রদলকর্মীরা। এ সময় তারা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় সাত রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

সকাল ৭টায় একই স্থানে গাছের গুড়িতে অগ্নিসংযোগ করে মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্রদলকর্মীরা। পরে পাঁচটি ককটেল ফাটিয়ে তারা চলে যায়।

একই মহাসড়কের সলঙ্গা থানার নলকায় সকাল সোয়া ৭টার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে এ সময় তাদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল রুবেলসহ আহত হন উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন। প্রায় অর্ধশত রাউন্ড টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

হরতাল সমর্থণে সকাল সোয়া ৭টার দিকে সিরাজগঞ্জের ইবি রোডের জেলা কার্যালয় থেকে একটি মিছিল বের করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। মিছিলকারীরা রেলগেট এলাকায় পৌঁছে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলার বেলকুচি উপজেলার সুবর্ণপাড়া মোড় এলাকায় হরতালের সমর্থণে মিছিল বের করে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তাদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১১ রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। আহত হন অন্তত পাঁচজন।

হরতালের কারণে সিরাজগঞ্জ শহরের অধিকাংশ দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কিছু রিকশা, অটো রিকশা চলাচল করছে। কেন্দ্রীয় এমএ মতিন বাসস্ট্যান্ড থেকে আন্তঃজেলা বা দূরপাল্লা রুটের কোন বাস ছেড়ে যায়নি।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (এএসপি) মোকতার হোসেন জানান, শুধু মহাসড়কে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া জেলার সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি র‌্যাবের টহলও অব্যাহত আছে।

জেলার অন্য উপজেলা থেকে বিকেল পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আসেনি বলে জানান তিনি।

(দিরিপোর্ট২৪/এসএস/এইচএস/এমএআর/অক্টোবর ২৭, ২০১৩)