দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ১৮ দলীয় জোটের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’কে মার্চ ফর ডিস্ট্রাকশন বা ধ্বংসের অভিযাত্রা বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে শনিবার ঢাকা মহানগরসহ (উত্তর ও দক্ষিণ) ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ নামে কর্মসূচির আড়ালে দেশ ধ্বংসের খেলায় মেতেছেন। এই খেলা বন্ধে যুবলীগকে সতর্ক থাকতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি খালেদা জিয়ার একটা অজুহাতমাত্র। দেশকে ধ্বংস করা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোই এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য।

মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আন্দোলন হলো জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ করা। খালেদা জিয়ার আন্দোলনে তো জনগণ নেই। তারা তো চোরাগোপ্তা হামলা করছে। এটা আন্দোলন নয়, সন্ত্রাসী তৎপরতা। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস নৈরাজ্য বন্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে হবে। জনগণকে সচেতন করার দায়িত্ব যুবলীগকেই নিতে হবে।

তিনি বলেন, জাতি একাত্তরে ফিরে গেছে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত আজ স্বাধীন বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। যুবলীগকে এই যুদ্ধ মোকাবেলা করে ৭১-এর মতো আরেকটি বিজয় অর্জন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।

যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ বলেন, এখন বসে থাকার সময় নয়। বিএনপি-জামায়াত একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চাইছে। দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে জাতীয় পতাকার অবমাননা করতে চায়। যুবলীগকে রাজপথে থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের এই চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান হিরন, মোঃ ফারুক হোসেন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, আতাউর রহমান, শাহাজান ভুইয়া মাখন, ইঞ্জি. নিখিল গুহ, অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান দীপু, জাকির হোসেন খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, শেখ বোরহান উদ্দিন বাবু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজাসহ জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণ।

(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/এপি/ডিসেম্বর ২৮, ২০১৩)