‘নাস্তিক বলে অমুসলমান বানানোর প্রক্রিয়া চলছে’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেছেন, দেশে মুসলমানদের নাস্তিক বলে অমুসলমান বানানোর প্রক্রিয়া চলছে। শনিবার জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে খুদবা প্রদানে ইমাম ও খতিবদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন।
তিনি বলেন, সনদহীন আলেমরা দ্বীনি দাওয়াতের ব্যত্যয় ঘটাচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে হাই কোর্টের আপিল বিভাগের ফতোয়া সংক্রান্ত রায় বাস্তবায়নের চিন্তা ভাবনা চলছে।
ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আফজাল আরো বলেন, দেশের ২ লাখ ৬০ হাজার মসজিদের মধ্যে কমবেশি ২ লাখ ১০ হাজার মসজিদে জুমার নামাজ হয়। কুরআন হাদিসের আলোকে যুগের চাহিদানুযায়ী এই মসজিদগুলোতে অভিন্ন খুতবা পাঠের ব্যবস্থা করা গেলে সামাজিক শান্তি নিশ্চিত হবে। তিনি বলেন, দেশে ১১টি শরীয়াভিত্তিক ব্যাংক চালু থাকলেও একটিও শরীয়া আইনে পরিচালিত হচ্ছে না। প্রচলিত কারিকুলামে পড়ে আলেম ওলামা তৈরি হচ্ছে না।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব প্রফেসর মাওলানা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। বায়তুল মোকাররমস্থ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ৩০ জন ইমাম ও খতিব অংশ নেন। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও নাথে রসুল পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সভার কাজ শুরু এবং দোয়া ও মোনাজাতের পর শেষ হয়।
সভাপতির বক্তব্যে খতিব প্রফেসর মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিম ও খাদেমদের সরকারিভাবে বেতন ভাতার দায়িত্ব নেওয়া না হলে মসজিদকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না বলে উল্লেখ করেন।
সভায় বাংলা ও আরবিতে খুদবা প্রস্তুতের জন্য ২টি কমিটি করা হয়। দেশে বর্তমানে ৮ খানা খুদবা বই রয়েছে। আরেকখানা হলে ৯টি হবে। শরশিনা হুজুরের লেখা একখানা বই দিয়েই এদেশে খুদবার ইতিহাস শুরু। দেশের ৮০ ভাগ মসজিদেই দেখে দেখে খুদবা পাঠ করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রচিত খুদবা রচনা ও প্রকাশনার পর দেশের মসজিদগুলোতে বিনা পয়সায় ওই বই পৌছে দিতে আড়াই কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে সভায় আলোচনা করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এম/এপি/ডিসেম্বর ২৮, ২০১৩)