দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধরী বলেছেন, সাংবদিকদের ওপর হামলা চালিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার জন্য সংলাপের বিকল্প নেই।



হরতালে সংবাদমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় রবিবার দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দুই শীর্ষ নেতার সংলাপের মধ্য দিয়ে দেশ সুস্থ্য গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসবে। এটাই সাংবাদিক সমাজসহ জাতির এই মূহূর্তের প্রত্যাশা বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবেন। জনগণের দূর্ভোগ না বাড়িয়ে হরতাল প্রত্যাহার করে সাংবাদিক সমাজকে শংকা থেকে মুক্ত করবেন।

তিনি বলেন, ‘শংকার মধ্য দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত হতে পারে না। আর মিডিয়ার স্বাধীনতা না থাকলে দেশে গণতন্ত্র কায়েম হবে না।’

প্রতিবাদ সভায় বিএফইউজে সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু হরতালের নামে সন্ত্রাসী তৎপরতায় বিশ্বাসী নই। আমারা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। কিন্তু যে মত প্রকাশ মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করে আমরা তার বিপক্ষে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হরতালের নামে সন্ত্রাসী ঘটনায় যারা মদদ দেয় তাদেরকেই সকল ক্ষয়ক্ষতির দায় বহন করতে হবে।’

সাংবাদিক নেতা আব্দুল জলিল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে টেলিফোনে বিরোধীদলীয় নেত্রীকে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে যুগান্তকারী ঘটনার সৃষ্টি করেছেন। স্বাধীনতার সময়ে রাজাকার-আলবদররা যেভাবে আমাদের সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল তাদের উত্তরসূরি জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা প্রধান বিরোধী দলের আশ্রয়ে থেকে আজ সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।’

ডিইউজের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিদের দিয়ে হামলা চালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা যাবে না। জাতি কোনো দিন আর স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এবং তাদের মদদদাতাদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’

‘আগামী ৬০ ঘণ্টার মধ্যে ৭১ টেলিভিশন, দেশ টিভি, ভোরের কাগজ এবং ঢাকা ও যশোরসহ সারা দেশের সাংবাদিকদের ওপর হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’- জানান তিনি।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএফইউজে ও ডিইউজে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজে সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। সঞ্চালনা করেন ডিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক সাবান মাহমুদ।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- সাংবাদিক নেতা সাইফুল ইসলাম তালুকদার, খায়রুজ্জামান কামাল, মধুসূদন মণ্ডল, বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলাম ভূইয়া, মোহাম্মদ সাজাহান মিয়া, কাজী রফিক, রহমান মুস্তাফিজ, আখতারুজ্জামান লাভলু, তরুণ তপন চক্রবর্তী, শাহানাজ প্রমুখ।

(দিরিপোর্ট২৪/এমএম/আইজেকে/এমডি/অক্টোবর ২৭, ২০১৩)