দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ‘হোটেল বন্ধ’ তাই সকালের নাস্তা না করে, ‘যানবাহন নেই’ তাই পায়ে হেঁটে গন্তব্যের পথে যাত্রা শুরু করেছে রাজধানীবাসী। রবিবার সকালে সরেজমিনে রাজধানীর শাহবাগ, ধানমন্ডি, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, মৎস্যভবন এলাকা ঘুরে এবং পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

বিরোধী দলের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ গণতন্ত্রের পথে অভিযাত্রা কর্মসূচি রুখতে রবিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার হোটেল-রেঁস্তোরা বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় সরকার সমর্থক নেতাকর্মীরা।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শাহবাগের পরিবাগ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার হোটেলগুলো পুলিশ বন্ধ করে দিচ্ছে। এমনকি ফুটপাতের চায়ের দোকানে সাজানো রুটি, বিস্কুটও পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।

শাহবাগ থানার এক উপ-পরিদর্শক এ সময় সবুর নামের এক হোটেল মালিককে আটক করে। পরে ‘হোটেল না খোলার শর্তে’ তাকে ছেড়ে দেয়।

এদিকে শাহবাগ এলাকার হোটেল-রেঁস্তোরা বন্ধে চরম দুর্ভোগে পড়েন বারডেম ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রোগীদের সঙ্গে আসা স্বজনরা। তারা সকালে নাস্তা থেকে শুরু করে নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছেন না।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে অসুস্থ রোগীর সঙ্গে দিনাজপুর থেকে আসা মাসুদ আহমেদ শিকদার সকালে নাস্তা করতে না পেরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। দ্য রিপোর্টকে তিনি বলেন, ‘সারারাত জেগে ছিলাম। সকালে নাস্তা করতে এসে দেখি সব হোটেল বন্ধ। যুদ্ধের সময়ও হোটেল বন্ধ দেখিনি।’

শাহবাগের আজিজ-কো অপারেটিভ হাউজিং এর বাসিন্দা চিকিৎসক সালমান হোসেন বলেন, ‘ভাই, বলার কিছু নেই। নাস্তা করতে পারলাম না। দেখি হাসপাতালে গিয়ে করা যায় কি না।’

এদিকে সকাল থেকেই রাজধানীর রাস্তায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অফিসমুখী যাত্রীদের। অনেকে পায়ে হেঁটে অফিসের দিকে যেতে দেখা গেছে।

সকাল নয়টার দিকে মতিঝিলের একটি সরকারি ব্যাংকের পিয়ন আব্দুল জলিলকে মোহাম্মদপুর থেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যেতে দেখা গেছে। তিনি মৎস্য ভবনে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘সকালের দিকে অফিসাররা আসবেন। আমাকে নয়টার মধ্যে অফিসে থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু রাস্তা ফাঁকা। বাস নেই। তাই পায়ে হেঁটেই মোহাম্মদপুর থেকে আসলাম।’

কারওয়ান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী রফিক দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘মিরপুর যাবো। অনেক সবজি কিনেছি। সকালে বাজার ধরতে হবে। কিভাবে যাবো বুঝতে পারছি না।’

(দ্য রিপোর্ট/সাআ/এমএআর/ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩)