দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিরোধী জোটের ডাকা ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও অনিশ্চিত হলো বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। তারা মনে করছেন, বিরোধী দলকে কর্মসূচি পালন করতে দিলে তারা কী বলতে চাচ্ছিল তা বোঝা যেত। কিন্তু তাদেরকে সে সুযোগ না দিয়ে সরকার পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলল।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি শহিদুল আজিম বলেন, ‘আজকের (রবিবার) বিরোধী দলের কর্মসূচিতে সরকার যেভাবে বাধা দিয়েছে তাতে শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে হচ্ছে না। সরকার তাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে দিলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি হয়ত স্বাভাবিক হয়ে আসত। কিন্তু সরকার সে সুযোগটা নষ্ট করে দিলো। এর ফলে বিরোধী দল সামনে আরও কঠিন কর্মসূচি দিতে পারে। তাতে আমাদের আর বলার কিছু থাকবে না।’

গত ৭ ডিসেম্বর মানববন্ধন করে বিরোধী দলের নেতাকে হরতাল-অবরোধের মতো অর্থনীতি বিধ্বংসী কর্মসূচির বিকল্প বের করার আহ্বান জানিয়েছিলেন বিজিএমইএ নেতারা। তারই অংশ হিসেবে বিরোধী দল অবরোধ প্রত্যাহার করে মার্চ ফর ডেমোক্রেসির মতো অহিংস কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।

রাজনৈতিক এমন পরিস্থিতিতে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে নতুন কোনো কর্মসূচি দেবেন কি না- সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারির পর এ বিষয়ে আমরা নতুন করে সিদ্ধান্ত নেব।’

আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (এ্যামচেম)-এর সভাপতি আফতাব উল ইসলাম বলেন, ‘বিরোধী দলের মার্চ ফর ডেমোক্রেসিতে বাধা দিয়ে সরকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করেছে। বিরোধী দলের নেতা বারবার বলছিলেন, তিনি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবেন। এ জন্য ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী, ডাক্তার, শিক্ষক সকলকে আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্ত তার সেই কমিটমেন্ট দেখার সুযোগই দিলো না সরকার।’ এতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেল বলে মনে করছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রাজনীতি বুঝি না, আমরা চাই শান্তি। শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চাই। দেশে অশান্তি সৃষ্টি হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় ব্যবসায়ীদের।’

ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি সবুর খান বলেন, ‘বিরোধী দলের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ায় মনে হচ্ছে পরিস্থিতি আরও দীর্ঘায়িত হলো। কর্মসূচিটি পালিত হলে বিরোধীদলীয় নেতা কী বলতে চাইছিলেন তা জানা যেত। বাধা দেওয়ায় সেটা আর সম্ভব হলো না। কর্মসূচি পালন করতে না পেরে আগামীকালও (সোমবার) একই কর্মসূচি ঘোষণা করলেন বিরোধীদলীয় নেতা। এতে নির্বাচনকে ঘিরে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা আর কাটল না। রাজনৈতিক সমাধান ছাড়া নির্বাচন হলে অনেক সমস্যা থেকে যাবে। আল্টিমেটলি এ সমস্যা দূর করতে রাজনৈতিক সমাধানেই আসতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার শক্তি দিয়ে আজকের (রবিবার) কর্মসূচি ঠেকাতে গিয়ে তা আরও বাড়াল। এ জন্য আগামীকালও (সোমবার) সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/এআই/এসকে/নূরুল/ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩)