‘গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের অপচেষ্ট করছে সরকার’
দ্য রির্পোট প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার গত দুইদিন যাবৎ দেশের সকল রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে। জেলায় জেলায় গণগ্রেফতার ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের লাঠি মিছিলের মাধ্যমে সরকার শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করার অপচেষ্ট করছে।
দলীয় প্যাডে দেওয়া এ বিবৃতি রবিবার এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে গতকাল (শনিবার) রাত থেকে অসংখ্য পুলিশ মোতায়েনের মাধ্যমে কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখে সরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের সকল নীতি নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে খালেদা জিয়াকে আজ (রবিবার) সমাবেশে যোগ দিতে বাধা দেয় সরকার। একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে বানচাল করতে সরকার নজিরবিহীন স্বৈরাচারী পথ অবলম্বন করে। প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর আওয়ামী লীগের লাঠিয়াল বাহিনী ন্যাক্কারজনক আক্রমণ চালায়। আহত হন সাংবাদিকরা।
ঢাকা হাইকোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবীদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা একই ফ্যাসিবাদী কায়দায় আক্রমণ চালিয়ে আইনজীবীদের আহত করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, পুলিশ মালিবাগে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে এক ছাত্রনেতাকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন অনেকে। গ্রেফতার করা হয়েছে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জনাব এনাম আহমেদ চৌধুরীসহ অনেক আইনজীবী ও নেতৃবৃন্দকে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণগ্রেফতারের মাধ্যমে শত শত নিরীহ জনগণকে গ্রেফতার করে চরম হয়রানি করা হচ্ছে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে বাকশালী কায়দায় একদলীয় শাসনব্যবস্থা ভিন্ন আঙ্গিকে পুনরায় কায়েম করার লক্ষ্যে ৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চাইছে সরকার।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে, গণতন্ত্র হত্যা করে এই দুর্নীতিপরায়ণ সরকার দু:শাসনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করতে নির্লজ্জ মিথ্যাচার, নজিরবিহীন অত্যাচার ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। বাংলাদেশের সংগ্রামী জনগণ তাদের এই হীন উদ্দেশ্য সফল হতে দেবে না।
(দ্য রির্পোট/টিএস-এমএইচ/জেএম/ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩)