দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সোমবারও ঢাকা অভিমুখে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি পালনের আহবান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ। সরকারকে ফ্যাসিস্ট ও গণতন্ত্র হত্যাকারী উল্লেখ করে রবিবারের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি সরকারের হাত থেকে জনগণকে উদ্ধার এবং ন্যায্য ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আহবান জানান।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রবিবার রাতে মকবুল আহমাদ এ আহবান জানান।

জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর বলেন, ‘গণতন্ত্র হত্যাকারী ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী এ সরকার রাজধানী ঢাকাসহ গোটা দেশকে অচল করে দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, জাতীয় প্রেস ক্লাব ও রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে এক ভয়াবহ তাণ্ডব সৃষ্টি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার অত্যন্ত ন্যাক্কারজনকভাবে বিরোধী দলীয় নেতার প্রটোকল প্রত্যাহার করে তাকে কার্যত: গৃহবন্দী করে রেখেছে। তার বাসার সামনে বালির ট্রাক, জলকামান ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করেছে। বিরোধী দলীয় নেত্রী ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’তে যোগ দেওয়ার জন্য যাত্রা শুরু করলে সরকার বাধার সৃষ্টি করে। জনগণের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে আওয়ামী লাঠিয়াল বাহিনী আজ (রবিবার) যে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করেছে তা ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠার নৃশংস পাশবিকতার কথাই দেশবাসীকে আরেকবার স্মরণ করিয়ে দিল।’

জামায়াতের এ শীর্ষ নেতা বলেন, ‘এ সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সংবিধান মানে না। এ সরকার ফ্যাসিস্ট সরকার। তারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জনগণ সরকারের সকল ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করে তাদের ন্যায্য ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করে পতন নিশ্চিত করবে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় পতাকা হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি বাস্তবায়নকালে আইনজীবী, সাংবাদিক এবং নিরীহ জনতার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করলো, তারাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী দল।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মকবুল বলেন, ‘হঠকারিতা, একগুঁয়েমি পরিহার করে ৯০ ভাগ মানুষের দাবি মেনে নিন। হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের পথ পরিহার করুন। গণবিচ্ছিন্ন হওয়ার পরিণতি মোটেই শুভ নয়। দলীয় স্বার্থ পরিহার করে জনগণের দিকে তাকান। এই মুহূর্তে পদত্যাগ করে দেশ বাঁচান, মানুষ বাঁচান, গণতন্ত্র রক্ষা করুন।’

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/জেএম/ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩)