প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করুন : বি. চৌধুরী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ ঢাকা অভিযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
বি. চৌধুরী রবিবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ দাবি জানান।
বি.চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপির গণতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণ ঢাকা অভিযাত্রা কর্মসূচিকে সরকার স্তব্ধ করার জন্য যে সব পদ্ধতি ব্যবহার করেছে তাতে সারা পৃথিবীর মানুষ অবাক বিস্ময়ে দেখেছে। তারা আমাদের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ দেখে স্তম্ভিত হয়েছে। সরকার গণতান্ত্রিক পদ্ধতির অপব্যবহার করে একটি ন্যক্কারজনক উদাহরণ সৃষ্টি করলো।
তিনি বলেন, সরকার ঢাকায় প্রবেশের স্থলপথ, নৌপথ এবং রেলপথ বন্ধ করে ঢাকা শহরকে একটি অবরুদ্ধ নগরীতে পরিণত করেছে। তারপর নিরস্ত্র মানুষকে আক্রমণের জন্য নামিয়ে দিয়েছে আইন প্রয়োগকারী বাহিনীকে। দেশের গৌরবের ধন সেনাবাহিনীকে অপব্যবহার করছে। এর সব কিছুই গণতন্ত্রের জন্য ন্যক্কারজনক এবং নিকৃষ্ট উদাহরণ।
বি. চৌধুরী আরও বলেন, কোনো সরকারই চিরস্থায়ী নয়। এ সরকারকেও কোনো না কোনো সময় বিদায় নিতে হবে। সে সময় ভবিষ্যৎ সরকার যদি বর্তমান সরকারের লোকজনের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য উদাহরণ এবং পদ্ধতি প্রয়োগ করে, তখন তাদের কি বক্তব্য থাকবে।
তিনি বলেন, আজকে গণতন্ত্রকে কালিমা লিপ্ত করা হলো। আমি সরকারের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করি। সরকারের প্রতি আমার আহ্বান, এই রুঢ় অগণতান্ত্রিক আচরণের জন্য এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। প্রধানমন্ত্রী যে ধরনের আচরণ করছেন সে জন্য ইতিহাসের কাছে ক্ষমা চাওয়ার এটাই সহজ উপায় বলে মনে করি।
বি. চৌধুরী বিবৃতিতে আরও বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের এবং সাংবাদিকদের, সাধারণ মানুষ ও দলীয় কর্মীদের উপর যে আচরণ করা হয়েছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। বিরোধীদলীয় নেতার বাড়ির চারপাশে অসংখ্য পুলিশ দিয়ে ঘেরাও করে এবং বালুভর্তি ৫টি ট্রাক দিয়ে অবরুদ্ধ করার যে উদাহরণ সৃষ্টি করা হলো তা ন্যক্কারজনক এবং নিম্নরুচির পরিচায়ক। তিনি বলেন, যেহেতু এখনও জাতীয় সংসদ বহাল আছে সেহেতু সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার সম্মান ও সুবিধা খর্ব করা নিন্দনীয়, গর্হিত এবং সংবিধান বিরোধী।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং দেশের সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
(দ্য রিপোর্ট/সাআ/এপি/ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩)