দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : শনিবার রাতের পর রোববার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিকভাবে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা, আদালত প্রাঙ্গণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, থানাসহ স্পর্র্শকাতর স্থানে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অন্যদিকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনী উল্লেখযোগ্য তৎপরতা দেখাতে পারেনি।

রোববার বিকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশেপাশে ২০টি, প্রেস ক্লাবের সামনে ৭টি, পুরানা পল্টনে ২৭টি, প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে ১টি, নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে ৩টি, মগবাজার এলাকায় ৩টি, মিরপুরে ৩ টি, নিম্ন আদালত এলাকায় ৩টি, তেজগাঁও থানায় ৩টি, বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ২ টি, মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

এছাড়াও পান্থপথে ৩ টি, বঙ্গবাজার এলাকায় ৩ টি, নিউমার্কেট ৬ টি, লালবাগে ২ টি, ডেমরায় ৫ টি, যাত্রাবাড়িতে ১০ টি, কলাবাগানে ৩ টি, পল্লবীতে ৩ টি, দারুস সালাম এলাকায় ৩ টি, শান্তিনগরে ৩ টি, নয়াপল্টনে ৫ টি, ধানমন্ডিতে, রাজারবাগ পুলিশ লাইন ১ নম্বর গেটে ১টি, খিলক্ষেত কাচাঁবাজারে ২টি, সবুজবাগে ২ টি, এমপি হোস্টেলসহ বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুবৃত্তরা।

রামপুরা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, বেলা ২টার দিকে বন্ধু পরিবহন নামক মিনিবাস থেকে ২টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় কোনো হতাহত বা কাউকে আটক করা হয়নি।

রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শিবলী নোমান বলেন, বিকেল চারটার দিকে প্রেস ক্লাবের সামনে ৭টি ককটেল বিস্ফোরণ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। প্রায় একই সময় মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে আবুল হোটেলের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ সময় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

ডেমরা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মিনহাজুল ইসলাম দিরিপোর্ট২৪কে বলেন, ডেমরা ও যাত্রাবাড়ি এলাকায় ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশের সর্বোচ্চ সতর্কতার কারণে জানমালের তেমন কোন কোন ক্ষতি করতে পারেনি দুবৃত্তরা।

জানা গেছে, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় ডাকা ৬০ ঘন্টার হরতালের আগেরদিন সন্ধ্যা থেকে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় ধারাবাহিকভাবে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রোববার সকালে সেই তুলনায় হরতাল সমর্থনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ছিল কম। বেলা ১২টার পর থেকে বিাভন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা বাড়তে থাকে। এর মধ্যে বেলা সোয়া ২টার দিকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণকারী নিজেই আহত হয়। পরবর্তীতে তাকে রমনা থানা পুলিশ আটক করে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করে। এর পরেই বিএনপির পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ককটেল বিস্ফোরণকারীদেরকে গ্রেফতার করতে দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেও সন্ধ্যা পর্যন্ত তেমন কার্যকর তৎপরতা দেখাতে পারেনি। এর আগে ডিএমপির মূখপাত্র মনিরুল ইসলাম বলেন, ককটেল নিক্ষেপকারীদের গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেলে করে ছদ্মবেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

(দিরিপোর্ট২৪/দিপু/ শুভ/ এমডি/ অক্টোবর ২৭, ২০১৩)