পারটেক্স গ্রুপের দুর্নীতি
সোনালী ব্যাংকের জিএম জাহিদকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : চিনি আমদানির নামে ১৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড ডিভিশন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অ্যান্ড কোম্পানি সেক্রেটারি জাহিদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। এ জিজ্ঞাসাবাদ চলবে দুপুর পর্যন্ত । দুদকের উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঁঞার নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
দুদক সূত্র জানায়, বিদেশ থেকে অপরিশোধিত চিনি আমদানির নামে ২০১১ সালে সাত কোটি ৪২ লাখ টাকার এফডিআরের বিপরীতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ শাখায় ১৫০ কোটি টাকার দুটি এলসি খোলে পারটেক্স সুগার মিলস লিমিটেড। এলসির বিপরীতে ৩০ হাজার টন অপরিশোধিত চিনি আমদানি করলেও তা বিক্রি করে কোনো টাকা ব্যাংকে জমা করা হয়নি। এতে সৃষ্ট পেমেন্ট এগেইনস্ট ডকুমেন্ট (পিএডি) শ্রেণিভুক্ত করে এফডিআর সমন্বয় করার পরও পারটেক্স সুগার মিলসের কাছে সোনালী ব্যাংকের পাওনা দাঁড়ায় ১৩৬ কোটি টাকা। এর আগেই পারটেক্স গ্রুপের ২২ কোটি টাকা অনিয়মিত দায় ছিল। ঋণ অনাদায়ী অবস্থায় নতুন কোনো এলসি খোলা নিয়ম বহির্ভুত।
সূত্র আরও জানায়, ব্যাংকের বঙ্গবন্ধু এভিনিউ করপোরেট শাখার সাবেক ডিজিএম মেজবাহ উদ্দীন ও অন্যদের যোগসাজসে এ অর্থ লোপাট করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য বেরিয়ে আসলে পরবর্তীতে দুদক তা আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে।
অনুসন্ধান টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী, সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান, সেলিনা আক্তার মনি, মো. নাজিমুচ্ছায়াদাত, উপ-সহকারী পরিচাক মজিবুর রহমান এবং মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন।
প্রসঙ্গত, ২৩ ডিসেম্বর জাহিদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দেয় দুদক।
(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এনডিএস/লতিফ/ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩)