খালেদার বাসার সামনে বালুভর্তি ট্রাক
নো কমেন্টস : বেনজীর আহমেদ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কিন্তু রবিবার দুপুর থেকে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনের রাস্তায় কয়েকটি বালুভর্তি ট্রাক পড়ে থাকলেও তা কেন সরানো হচ্ছে না জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘নো কমেন্টস।’
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় মিন্টো রোডে ডিএমপি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই উক্তিটি করেন। থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলার জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকরা আরো জানতে চান হকিস্টিক, ক্রিকেট স্ট্যাম্প, লাঠি ও লোহার রডের মাথায় পতাকা লাগিয়ে মিছিল করলে কি তা পতাকা মিছিল হয়ে যায়? এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন ‘নো কমেন্টস।’
এ সময় ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানীবাসী আমাদের সবসময় সহযোগিতা করে আসছে। ইংরেজি নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে থার্টিফাস্ট নাইটেও রাজধানীবাসী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবারও ডিএমপিকে সহযোগিতা করবে। কেউ যাতে কোনো পার্কে, খোলা মাঠে কিংবা গণজমায়েত করতে না পারে সেজন্য রাজধানীবাসীসহ সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। থার্টিফাস্ট রাতে ড্রিঙ্ক করে গাড়ি না চালাতে অনুরোধ জানান তিনি। এ সময় সাংবাদিকদের কাছেও তিনি সহযোগিতা কামনা করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় প্রেস ক্লাবে ও আদালত পাড়ায় কিছু অসাংবাদিক ও অ্যাডভোকেটের পোশাক পড়ে দুষ্কৃতিরা অবস্থান নেওয়ায় সেখানে পুলিশের বাধা যৌক্তিক ছিল।’ তবে কেন কিভাবে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা প্রেস ক্লাব ও আদালত চত্বরে পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশ করতে পারলো সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
বিরোধী দলের সমাবেশের অনুমতি না মিললেও রাজধানীতে সরকারের দলীয় সংগঠন ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো কিভাবে সশস্ত্র অবস্থান নিয়ে মিছিল মিটিং সমাবেশ করতে পারছে যা ইতোমধ্যে মিডিয়ায় সংবাদ হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে তারা পতাকা মিছিল করেছে। লাঠিসোটা আপনারা কোথায় পেলেন পাল্টা জানতে চান তিনি।
পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দোহাই দিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব ও আদালতের প্রধান ফটক বন্ধ করলেও পুলিশের সামনে বহিরাগতরা কিভাবে ওই দুই স্থানেই সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ওপর হামলা চালালো তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রেস ক্লাব ও আদালতে সাংবাদিক প্রতিনিধি ও আইনজীবীদের বাইরে কিছু বহিরাগত প্রবেশ করায় পুলিশ সেখানে অবস্থান নেয়।’ যতোক্ষণ সাংবাদিক ও আইনজীবীদের সমাবেশ ও আন্দোলন চলছিল ততক্ষণ তো প্রধান ফটক পুলিশ খুলতে দেয়নি কিন্তু যখন বহিরাগতরা এসে সেখানে হামলা চালালো তখন পুলিশের ভূমিকা কেন নমনীয় ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘নো মোর কমেন্টস টুডে।’ এই বলে তিনি পুলিশের মিডিয়া সেল কক্ষ ত্যাগ করেন।
(দ্য রিপোর্ট/এনইউডি/এমসি/লতিফ/ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩)