দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে তাদের সাবসিডিয়ারি মার্চেন্ট ব্যাংকে দেওয়া একক গ্রাহক ঋণসীমা (সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট) সমন্বয়ের সময় তৃতীয় দফায় বাড়ানো হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে জানানো হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর’১৩ এর পরিবর্তে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত এই ঋণ সমন্বয়ের সুযোগ পাবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।

সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারিকৃত ‘ব্যাংক-কোম্পানির শেয়ার ধারণ ও পুঁজিবাজার এক্সপোজার প্রসঙ্গে’ শীর্ষক সার্কুলারে বলা হয়েছে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যাংকগুলো কর্তৃক মার্চেন্ট ব্যাংকিং ও ব্রোকারেজ কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে গঠিত নিজস্ব সাবসিডিয়ারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রদত্ত সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট- এর অতিরিক্তি বিদ্যমান ঋণ বিআরপিডি সার্কুলার নং-৫/২০০৫ অনুযায়ী নির্ধারিত সীমার মধ্যে নামিয়ে আনার সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখের স্থলে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।’

জানা গেছে, বিভিন্ন ব্যাংক মার্চেন্ট ব্যাংকিং ও ব্রোকারেজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে বিভিন্ন সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান চালু করেছে। এসব প্রতিষ্ঠান পৃথক কার্যক্রম শুরু করায় ব্যাংকে সরবরাহ করা তহবিল এখন ঋণে পরিণত হয়েছে। এই ঋণের পরিমাণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে 'সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট' অতিক্রম করে গেছে। অর্থাৎ একটি ব্যাংক একজন গ্রাহককে সর্বোচ্চ যে অংকের অর্থ ঋণ দিতে পারে, মার্চেন্ট ব্যাংকের ক্ষেত্রে ঋণ দেওয়া হয়েছে তার চেয়ে বেশি।


বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংক তার মূলধনের সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ অর্থ নিজস্ব মার্চেন্ট ব্যাংককে ঋণ হিসেবে দিতে পারে। যেসব ব্যাংক এই সীমার চেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছে, তা আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখের মধ্যে কমিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

পুঁজিবাজার যখন চাঙ্গা ছিল তখন কোনও কোনও ব্যাংক তার মূলধনের ২৫ শতাংশেরও বেশি অর্থ নিজস্ব মার্চেন্ট ব্যাংককে দিয়েছিল বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে বেরিয়ে আসে। এমন প্রেক্ষাপটে অতিরিক্ত ঋণ আগস্ট’ ২০১১ তারিখের মধ্যে সমন্বয় করতে বলেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তীতে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর দাবির মুখে একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

পরবর্তীতে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ঋণ সমন্বয়ের সময়সীমা দু’বছর বাড়ানো হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এএইচ/এইচকে/ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩)