দ্য রিপোর্ট, প্রতিবেদক : সংবিধানের দোহাই দিয়ে একদলীয় নির্বাচনের নামে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সংবিধানের নামে সরকার দেশের গণতন্ত্রকে জ্বালিয়ে দিচ্ছে। একই সঙ্গে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হলে গণতন্ত্রেও কবর রচনা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান এই পরিস্থিতির জন্য যারা দায়ী গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে তাদেরকে এক দিন বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে।

আগামী ২৪ জানুয়ারি সরকারের মেয়াদ শেষ হলে এর মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব না হলে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করা যাবে বলে মন্তব্য করেন সিনিয়র এই আইনজীবী।

খন্দকার মাহবুব বলেন, সারাদেশের এইসব তাণ্ডবের জন্য ও দেশের গণতন্ত্রকে জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা যারা দায়ী একদিন তাদেরও অবস্থা খারাপ হবে। দেশের এ অবস্থার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করলেন তিনি।

আইন-শূঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে করে তিনি বলেন, আপনারা আমাদের ভাই ও পুত্র। আপনারা গণতন্ত্রকে রক্ষা করুন। দেশে গৃহযুদ্ধ বাঁধলে আপনাদের আত্মীয় স্বজনরাও ছাড় পাবে না।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বার কাউন্সিলের সদস্য ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী। সদ্য গ্রেফতার হওয়া বার কাউন্সিলের সদস্য ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকনকে মুক্তির দাবি জানান তিনি।

এ সময় মোহাম্মদ আলী সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীদের উপর হামলাকারী বহিরাগত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শস্তির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে দাবি জানান।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এসবি/ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩)