খালেদা জিয়াকে দীপু মনি
‘কোন অজ্ঞাতবাসে গিয়েছিলেন তিনি’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ‘নিজের কৃতকর্ম অপরের ঘাড়ে চাপানোর নির্লজ্জ প্রয়াস চালাচ্ছেন খালেদা জিয়া’- এই অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি প্রশ্ন রেখেছেন, ‘ওইদিন তিনি কালো কাঁচের গাড়িতে করে বাসা ছেড়ে কোন অজ্ঞাতবাসে গিয়েছিলেন, জাতি জানতে চায়।’
আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার সময় সরকার অবরোধ দিয়েছে’- বিরোধী দলের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘সরকার জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে। গত কয়েকদিনে দেশের কোথাও কোন বড় ধরনের নাশকতা হয়নি।’
দিপু মনি বলেন, ‘আমরা এবং দেশবাসী কেউ কখনও দেখনি তার (খালেদা জিয়া) কোন নেতা-কর্মীকে হেঁটে আন্দোলনে যেতে। আসলে তিনি ভাড়াটিয়া সন্ত্রসীদের দিয়ে কর্মসূচি পালন করেন।’
তিনি খালেদা জিয়ার রবিবারের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘তিনি রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যে অসভ্য, অশোভন, রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য রেখেছেন গোটা জাতির সঙ্গে আমরাও স্তম্ভিত। আমরা মনে করি গণতন্ত্র এবং এর অনুশীলনকারী কোনো রাজনৈতিক দল বা নেত্রীর পক্ষে এহেন বক্তব্য একান্তই বেমানান। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
খালেদা জিয়ার প্রতি প্রশ্ন রেখে দিপু মনি বলেন, ‘আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, জাতি কি আপনার ওই বক্তব্য পছন্দ করেছে? নিশ্চয়ই নয়। এ ধরনের বক্তব্য রেখে আবারও প্রমাণ করলেন আপনি পাকিস্তানের দোষর।’ এটা তার পাকিস্তানের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
খালেদা জিয়াকে সংযত ও সহনশীল বক্তব্য রাখার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রের ভাষায় কথা বলুন। হিংসাশ্রয়ী, অগণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য দিয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কলুষিত করবেন না।
তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়া সকাল ১১টায় কর্মসূচি দেন, দুপুর ৩টায় বাসা থেকে বের হতে চান। এতে বুঝা যায় এগুলো তার সাজানো নাটক এবং ফটোসেশন ছাড়া আর কিছুই নয়।’
খালেদা জিয়া বিডিআর বিদ্রোহে নিহত ৫৭ সেনা কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন তা অসত্য, কাল্পনিক ও বানোয়াট বলে জানান দীপু মনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক আবদুস ছোবান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন, সুজিত রায় নন্দী, এনামুল হক শামীম, তথ্য গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/এমএআর/ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩)