প্রতিশ্রুতি রাখেনি সরকার
দলীয়করণের বৃত্তেই প্রশাসন
শেষ হচ্ছে আরো একটি বছর। শেষ হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারেরও মেয়াদ। প্রশাসনে এ সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি বলে মনে করেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
তাদের দাবি, অরাজনৈতিক করার পরিবর্তে দলীয়করণের বৃত্তেই রয়েছে জনপ্রশাসন। দলীয় বিবেচনায় দেওয়া হয়েছে পদোন্নতি। সরকারের মেয়াদের পুরো সময়জুড়েই ছিল বঞ্চিতদের হাহাকার। ভিন্ন মতের কর্মকর্তাদের বছরের পর বছর ওএসডি করে রাখা হয়েছে, দেওয়া হয়েছে বাধ্যতামূলক অবসর। পদের বেশি কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়ায় প্রশাসনে সৃষ্টি হয়েছে বিশৃঙ্খলা। তবে নতুন কিছু উদ্যোগও ছিলো। প্রশাসন সংস্কার ও আধুনিকায়নে কিছু উদ্যোগ থাকলেও তা সফল হয়নি।
২০০৮ সালের আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রশাসন নিয়ে বলা হয়েছে, দলীয়করণমুক্ত অরাজনৈতিক গণমুখী প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। যোগ্যতা, জ্যেষ্ঠতা ও মেধারভিত্তিতে সব নিয়োগ ও পদোন্নতি নিশ্চিত করা হবে। প্রশাসনিক সংস্কার, তথ্য অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ই-গর্ভনেন্স চালু করা হবে।
সাবেক সচিব ও সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান বদিউর রহমান বলেন, ‘চারদলীয় জোট সরকার দলীয়করণের মাধ্যমে প্রশাসনের বারোটা বাজিয়েছে। আর মহাজোট সরকার এর ষোলকলা পূর্ণ করেছে।’
তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুস সোবহান সিকদার দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘মহাজোট সরকারের সময়ে নতুন পদ সৃষ্টি, নিয়োগ, পদোন্নতিসহ কিছু মোটা দাগের অর্জন রয়েছে। তবে কিছু কিছু উদ্যোগ থাকলেও সেগুলো আগামীতে চূড়ান্ত করা হবে।’ তিনি প্রশাসনে দলীয়করণের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
পদোন্নতি ও পদোন্নতি বঞ্চনা
মহাজোট সরকারের আমলে দুই হাজার ৫২৮ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে। এরমধ্যে ২০০৯ সালে ৬৯৮জন, ২০১০ সালে ৪৮৮জন, ২০১১ সালে ৫৯জন, ২০১২ সালে ৬৬৬জন এবং চলতি বছর সর্বদলীয় সরকার গঠনের পূর্ব পর্যন্ত ৬১৭জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব ও উপসচিব পদে এ পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
পদোন্নতির তালিকা পর্যালোচনা করে জানা গেছে, এ সরকারের আমলে পদোন্নতি পেয়ে সচিব হন ৭৮জন, অতিরিক্ত সচিব হন ২৯৩জন, যুগ্মসচিব হন এক হাজার ৯১জন এবং উপসচিব হন এক হাজার ৬৬জন।
২০০৯ সালে ৬৯৮ কর্মকর্তার মধ্যে সচিব পদে ২৯, অতিরিক্ত সচিব পদে ১৩৫, যুগ্মসচিব পদে ২৫৬, উপসচিব পদে ২৭৮জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। ২০১০ সালে সচিব পদে ১৮, যুগ্মসচিব পদে ১৬৩, উপসচিব পদে ৩০৭জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়, তবে অতিরিক্ত সচিব পদে কোন পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।
২০১১ সালে পদোন্নতি পাওয়া ৫৯জনের মধ্যে ১৪জন অতিরিক্ত সচিব থেকে সচিব, যুগ্ম সচিব থেকে পদোন্নতি পেয়ে ৩১জন অতিরিক্ত সচিব, ৫জন উপসচিব থেকে যুগ্মসচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে ৯জন পদোন্নতি পেয়ে উপসচিব হন।
২০১২ সালে ৬৬৬জনকে পদোন্নতি দেওয়া হলেও সচিব পদে কেউ পদোন্নতি পাননি। এ বছর পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত সচিব হন ১২৭, যুগ্মসচিব হন ২৬৬, উপসচিব হন ২৭৩জন।
সর্বশেষ চলতি বছর কোনো অতিরিক্ত সচিবকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। এ বছর সবচেয়ে বেশি পদোন্নতি পান যুগ্মসচিব পদে ৪০১জন। ২০১৩ সালে ৬১৭জন পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মধ্যে সচিব পদে ১৭, উপসচিব পদে ১৯৯জন পদোন্নতি পান।
মহাজোট সরকারের সময় প্রত্যেকবারই পদোন্নতির সময় বঞ্চনার অভিযোগও উঠেছে। বঞ্চিতরা বলেছেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক কারণে তারা পদোন্নতি পাননি। মেধা তালিকার অনেক নিচে থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক আনুগত্যের কারণে অনেক কর্মকর্তা পদোন্নতি বাগিয়ে নিয়েছেন। জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে জুনিয়রদের পদোন্নতি হওয়ায় অনেক সিনিয়রকে এখন তাদের অধীনে কাজ করতে হচ্ছে। এতে মানসিক যন্ত্রণা ও হতাশায় ভুগছেন ওই সব কর্মকর্তা। প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বঞ্চিত করার প্রথাই প্রশাসনিক কাঠামোকে দুর্বল করে দেওয়ার অন্যতম কারণ। এতে বঞ্চিতদের মনোবল ভেঙে যায়। তাদের কাজকর্মে দেখা দেয় অনীহা। বেড়ে যায় প্রশাসনে অস্থিরতা।
২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি সচিব পদে সাতজন পদোন্নতি পান। দলীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিতে গিয়ে বেশ কয়েকজন মেধাবী কর্মকর্তার বঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই পদোন্নতির দুই দিন পর ২৭ জানুয়ারি অতিরিক্ত সচিব পদে ৭২জনকে পদোন্নতি দেওয়ার সময়ও অর্ধশতাধিক কর্মকর্তাকে বঞ্চিত করা হয়। তখনও দলীয়করণের অভিযোগ ওঠে। ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর একসঙ্গে ৪৯৪ কর্মকর্তাকে তিন স্তরে দেওয়া পদোন্নতি খুবই বিতর্কের জন্ম দেয়। ২০১১ সালে পদোন্নতি দিতে গিয়ে সাড়ে পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তাকে বঞ্চিত করা হয়। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রশাসনে কর্মকর্তাদের বড় ধরনের পদোন্নতি দেয়। অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব ও উপ-সচিব পদে মোট ৬৪৯জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এ পদোন্নতির কারণে নজিরবিহীন পদোন্নতি বঞ্চনার ঘটনা ঘটে। সব ধরনের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এ সময় পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠে। নিয়ম-কানুন না মেনে দলীয় বিবেচনায় পদোন্নতি দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে এ সময়।
পদের চেয়ে অতিরিক্ত কর্মকর্তার কারণে বিশৃঙ্খলা
পদোন্নতির কারণে প্রশাসনে নির্ধারিত পদের চেয়ে কর্মকর্তার সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। এতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে প্রশাসনে। শূন্য পদ না থাকায় পদোন্নতিপ্রাপ্তদের আগের পদেই বহাল থাকতে হচ্ছে। এতে নিচের দিকে পদোন্নতিতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে।
পর্যাপ্ত পদ না থাকায় পদোন্নতির পর অধিকাংশ কর্মকর্তাকেই আগের জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়। ফলে একেক মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনের চেয়েও বেশি উপসচিব, যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন। পরে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে পদগুলোর পুনর্বিন্যাস করা হয়। আগে উপসচিবেরা যে পদে দায়িত্ব পালন করতেন, সেটাকে এখন উপসচিব বা যুগ্মসচিব হিসেবে বলা হচ্ছে। আর যুগ্মসচিব পদের বেলায় করা হয়েছে যুগ্মসচিব বা অতিরিক্ত সচিব।
অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হলেও এটা স্থায়ী রূপ নেওয়ার দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাধ্যতামূলক অবসর
এ সরকারের সময় বেশ কিছু কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে। বিরোধী রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী হওয়ার কারণে এ প্রক্রিয়ার কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
চলতি বছরের ২৯ মে একজন অতিরিক্ত সচিব এবং ২ জুন একজন যুগ্মসচিব, ৬ জুন এক যুগ্মসচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরের মাধ্যমে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২৭ আগস্ট পররাষ্ট্র ক্যাডারের তিন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ কর্মকর্তারা ওএসডি ছিলেন। এদের অনেকে চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রীদের একান্ত সচিব (পিএস) ছিলেন। সরকারবিরোধী কর্মকর্তা হিসেবে প্রায় অর্ধশত কর্মকর্তার মধ্যে এরাও ছিলেন। এ জন্য বর্তমান সরকার আসার পরই তাদের ওএসডি করা হয়।
রেকর্ড ওএসডি
গত বছরের মার্চ মাসে ওএসডি কর্মকর্তার সংখ্যা সর্বোচ্চ হয়। এ সময় সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব, উপ-সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব ও সহকারী সচিব মিলিয়ে প্রশাসনে ওএসডির সংখ্যা ৮ শতাধিকে দাঁড়ায়। ইতোপূর্বে এ সরকারের আমলে ওএসডির সংখ্যা কখনো সর্বাধিক ৩০০ অথবা সর্বনিম্ন ১৫০জন ছিলো।
এখনো প্রশাসনে প্রায় ৮০০ বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) রয়েছেন। এদের বেশির ভাগই গত মহাজোট সরকারের শুরু থেকেই ওএসডি আছেন বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। কোন কাজ না করা এ সব কর্মকর্তাদের পেছনে প্রতিমাসে বেতন বাবদ বিপুল অঙ্কের সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে।
এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আদালতে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। প্রতিবেদনে জনপ্রশাসনে ওএসডি কর্মকর্তাদের পেছনে পাঁচ বছরে সরকারের ব্যয়ের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১২ বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওএসডি কর্মকর্তাদের পেছনে ১০৩ কোটি ২৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩৭ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে করা ওএসডির মোট সংখ্যা ছিলো এক হাজার ৯৮৯। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোট। এরপর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি।
নতুন পদ সিনিয়র সচিব
গত বছরের শুরুতে প্রশাসনে প্রথমবারের মতো সিনিয়র সচিব নামে একটি পদ চালু হয়। ৯ জানুয়ারি আট সচিবকে সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদা দেওয়া হয়। ওই সময় অর্থ বিভাগের সচিব ড. মোহাম্মদ তারেক, পানিসম্পদ সচিব শেখ আলতাফ আলী, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সদস্য রোকেয়া সুলতানা, জনপ্রশাসন সচিব আবদুস সোবহান সিকদার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব হুমায়ুন কবির, বস্ত্র ও পাট সচিব আশরাফুল মকবুল, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ইকবাল মাহমুদ এবং কৃষি সচিব সি কিউকে মুসতাক আহমেদকে সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদা দেওয়া হয়।
২৮ ফেব্রুয়ারি চুক্তিভিত্তিতে নিয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামানকেও সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদা দেওয়া হয়। এরপর পুলিশের মহাপরিদর্শকের পদটি সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সচিবদের মাঝামাঝি একটি পদমর্যাদা হলো সিনিয়র সচিব।
পদ সৃষ্টি, নিয়োগ, প্রশিক্ষণ
মহাজোট সরকারের সময়ে তিন লাখ ৮৬ হাজার ৪৫৬টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এক লাখ ১৫ হাজার ৯২২টি পদ স্থায়ী করা হয়েছে। ২৮তম, ২৯তম, ৩০তম, ৩১তম এবং ৩২তম (বিশেষ) বিসিএসের মাধ্যমে সাড়ে নয় হাজারেরও বেশি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এক হাজার ৬৮৭জনকে উচ্চ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও ডিপ্লোমা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সংস্থার শীর্ষ ৩৩ পদ গ্রেড-১ এ উন্নীত হচ্ছে
সরকারের বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার শীর্ষ ৩৩টি পদকে জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড-১ এ উন্নীত করতে যাচ্ছে সরকার। এটি চূড়ান্ত করে বাস্তবায়ন এখন সময়ের ব্যাপার। প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদনের পর প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি সম্মতি দিয়েছে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে।
প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে থাকা ২৭টি ক্যাডারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের একটি হাইপাওয়ার কমিটি গত বছর ১৮ অক্টোবর এ বিষয়ে সুপারিশ করে।
অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী গ্রেড-১ ভুক্ত হবে আয়কর এবং শুল্ক ও আবগারি ক্যাডারের প্রত্যেকটি ২টি সদস্যের চারটি পদ, বিসিকের চেয়ারম্যান, কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক, বিএসটিআইর মহাপরিচালক, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক, তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক, সওজের প্রধান প্রকৌশলী, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক, মাউশির মহাপরিচালক, হিসাব মহানিয়ন্ত্রক, কম্পট্রোলার জেনারেল অব ডিফেন্স ফাইন্যান্স, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক, রাজউকের চেয়ারম্যান, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক, পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী।
(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এমসি/এইচএসএম/সা/ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩)