সোবহানের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের ৯টি অভিযোগ গঠন
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে ৯টি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করেছে ট্রাইব্যুনাল।
একই সঙ্গে আগামী ২৮ জানুয়ারি এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।
এ ছাড়াও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক কর্মদিবসে এ মামলার কার্যক্রম চলবে বলেও আদেশে বলা হয়।
আদালতে মঙ্গলবার আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম এবং রাষ্ট্রপক্ষে সুলতান মাহমুদ সীমন উপস্থিত ছিলেন।
সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সোবহানকে আসামির ডক থেকে সাক্ষীর ডকে নিয়ে বসানো হয়। তার বিরুদ্ধে আনা ৯টি অভিযোগ তাকে পড়ে শোনান ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর। এরপর আদালত বলেন, ‘আমরা অভিযোগগুলো দেখেছি, পর্যবেক্ষণ করেছি এবং অভিযোগ গঠন করছি।’
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর জামায়াত নেতা সোবহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ করেন প্রসিকিউশন। এরপর আসামিপক্ষের শুনানির জন্য দিন ধার্য করে দেয় ট্রাইব্যুনাল। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সোবহানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর সোবহানের বিরুদ্ধে ৮৬ পৃষ্ঠার ওই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা দেন প্রসিকিউশন।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনে গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ষড়যন্ত্রসহ ৮ ধরনের ৯টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বছরের ১৫ এপ্রিল থেকে সোবহানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে গত ১২ সেপ্টেম্বর তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে তদন্ত সংস্থা।
তদন্তের স্বার্থে গত ১ সেপ্টেম্বর সেফহোমে নিয়ে সোবহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত সংস্থা।
৯টি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কর্মকর্তা ও জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ মোট ৪৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে সোবহানের বিরুদ্ধে।
২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকালে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে সোবহানকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এমসি/শাহ/ডিসেম্বর ৩১, ২০১৩)