দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ‘মাননীয় আদালত আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সব মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে আনা কোন অভিযোগের সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম না।’ মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদালতকে তিনি এ কথা বলেন।

মঙ্গলবার চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ সোবহানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ৯টি অভিযোগ গঠন করেন। অতঃপর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান তাকে জিজ্ঞাসা করেন আমরা আপনার বিরুদ্ধে ৯টি অভিযোগ গঠন করলাম। আপনি কি দোষী না নির্দোষ? তখন তিনি ট্রাইব্যুনালকে এ সব কথা বলেন।

সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সোবহানকে আসামির ডক থেকে সাক্ষী ডকে নিয়ে বসানো হয়। অতঃপর তার বিরুদ্ধে আনা ৯টি অভিযোগ তাকে পড়ে শোনান ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর। এরপর আদালত বলেন, ‘আমরা অভিযোগগুলো দেখেছি এবং পর্যবেক্ষণ করেছি এবং অভিযোগ গঠন করলাম।’

অতঃপর সোবহানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য পেশ ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে ওই দিনের মধ্যে আসামিপক্ষের সাক্ষীদের তালিকা দাখিল করার নির্দেশ দেন আদালত।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর সোবহানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর সোবহানের বিরুদ্ধে ৮৬ পৃষ্ঠার ওই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা দেন প্রসিকিউশন।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনে গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ষড়যন্ত্রসহ ৮ ধরনের ৯টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বছরের ১৫ এপ্রিল থেকে সোবহানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে গত ১২ সেপ্টেম্বর তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে তদন্ত সংস্থা।

তদন্তের স্বার্থে গত ১ সেপ্টেম্বর সেফহোমে নিয়ে সোবহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত সংস্থা।
৯টি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কর্মকর্তা ও জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ মোট ৪৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে সোবহানের বিরুদ্ধে।
২০১৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকালে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে সোবহানকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এমসি/শাহ/ডিসেম্বর ৩১, ২০১৩)