চট্টগ্রাম সংবাদদাতা : চট্টগ্রামে থার্টিফার্স্ট নাইটে উৎসবের আড়ালে নাশকতার আশংকা করছে পুলিশ। আর নাশকতা ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) মাসুদ-উল-হাসান জানান, দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে থার্টিফার্স্টের নামে যে কেউ যে কোনো ধরনের নাশকতা ঘটাতে পারে। কেউ রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলাও করতে পারে। এ জন্য নাশকতা বিবেচনায় নিয়েই আমরা নিরাপত্তা পরিকল্পনা করেছি।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা) বাবুল আক্তার জানান, থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেল থেকে আরও প্রায় এক হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মাঠে নামবে। র‌্যাব সদস্য থাকবে সাড়ে তিনশ। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের কমপক্ষে আটটি ভ্রাম্যমাণ টহল টিমও থাকবে।

এদিকে সকাল থেকে নগরীর ৬০ স্পটে তল্লাশি শুরু করেছে র‌্যাব-পুলিশ। মোটরসাইকেল আরোহীদের বিশেষ নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) মাসুদ-উল-হাসান আরও জানান, নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, নেভাল একাডেমি, সিআরবি, ডিসি হিল, ফয়স লেক, তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু এলাকা ঘিরেও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, সব কফি হাউজ, হোটেল-রেস্টুরেণ্ট এবং অনুমোদিত বারগুলো নগর পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে হোটেল-রেস্টুরেণ্ট এবং কফি হাউজগুলোর মালিকদের বিকেল ৫টার পর তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বন্দর) মোস্তাক জানান, সমুদ্র সৈকত, নেভাল একাডেমিসহ আশপাশের এলাকার নিরাপত্তায় আড়াইশ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। বিকাল ৫টা থেকে সব দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানায়, নগরীতে বর্তমানে ৪৬টি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা আছে। থার্টিফার্স্ট নাইটে এ সব স্থাপনায় নাশকতার আশংকায় তাদের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএইচ/এমএআর/ডিসেম্বর ৩১, ২০১৩)