দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবিরণীর নোটিশ জারি করবে দুর্নীতি দমন কশিমন (দুদক)।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে মঙ্গলবার সম্পদ বিবিরণীর এ নোটিশ জারির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ নোটিশ জারি করা হবে বলে দ্য রিপোর্টকে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

যাদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি হবে তারা হলেন- চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের অফিস সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম এবং তার স্ত্রী ও একই অফিসের উচ্চমান সহকারী মিসেস রাফেজা বেগম।

দুদক সূত্র জানায়, জাহাঙ্গীর আলম উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ১৯৮৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিম্নমান সহকারী পদে চাকরিতে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি অফিস সুপার হিসেবে কর্মরত। একই অফিসে তার স্ত্রী উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত। জাহাঙ্গীর আলম পরিবার পরিজন নিয়ে চট্টগ্রামের ব্রিজ হাউজ, অর্কিড নামক অভিজাত আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন। চাকরি লাভের পর ১৯৯৭ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে ২০০৮ সালের ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকায় সাত দশমিক ২৬ একর কৃষি জমি এবং ২০০৫ সালের ২৪ মার্চ ৩ লাখ টাকায় চার কাঠা অকৃষি জমি ক্রয় করেন।

এ ছাড়াও তিনি নিজ গ্রামে ২০ লাখ টাকা খরচ করে একতলা দালান নির্মাণ করেন। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার মোট এক কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৮০০ টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। তার স্ত্রী মিসেস রাফেজা বেগমের নিজ নামে কৃষি-অকৃষি জমি, দালানকোঠা এবং ব্যবসায় বিনিয়োগ মিলিয়ে মোট ১ কোটি ২৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকার সম্পদের হদিস পাওয়া গেছে।

দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারির অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।

দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধান করেছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এনডিএস/রা/ডিসেম্বর ৩১, ২০১৩)