হংকংয়ে ৩২১ কোটি টাকা পাচার
স্ত্রী-পুত্রসহ মোর্শেদ খানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : হংকংয়ে ৩২১ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় মোরশেদ খানের স্ত্রী নাসরিন খান এবং ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান থানায় দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা বিদেশে ব্যাংক হিসাব খোলা এবং ওই হিসাবগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অনুমোদন গ্রহণ করেননি। আসামিরা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ব্যতিরেকে বিদেশে বৈদেশিক মুদ্রা রেখে বেআইনি কার্যকলাপ করেছেন। আসামিদের উপার্জিত বৈধ অথবা অবৈধ অর্থের উৎস গোপন রেখে তা অবৈধভাবে বিদেশে পাচার ও রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন।
এম মোরশেদ খান, তার স্ত্রী ও পুত্রের মালিকানাধীন ফার ইস্ট টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিটেডের নামে হংকং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে সাতটি মাল্টিকারেন্সি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি ইউএসডি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট, একটি ইউএসডি সেভিংস অ্যাকাউন্ট, চারটি ফিক্সড ডিপোটিজ অ্যাকাউন্ট ও একটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
এ ছাড়া হংকং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে এম মোরশেদ খানের নিজ নামে একটি ইউএসডি সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং একটি এইচকেডি (হংকং ডলার) সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অনুরূপভাবে হংকং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ফয়সাল মোরশেদ খানের নিজ নামে একটি ইউএসডি সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং একটি এইচকেডি (হংকং ডলার) সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
এ সব অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সময় আসামিরা তিন কোটি ৯৫ লাখ ৬২ হাজার ৫৪১ মার্কিন ডলার ও এক কোটি ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৩ হংকং ডলার পাচার করেছেন। বাংলাদেশি অর্থে এ পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩২১ কোটি টাকা। আসামিরা ২০০১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময়ে এসব অর্থপাচার করেন।
দুদক অর্থপাচারের অভিযোগটি ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে অনুসন্ধান শুরু করে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০৯ এর ৪ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এপি/ডিসেম্বর ৩১, ২০১৩)