দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : এরশাদ নির্বাচনে প্রচারণায় না থাকলেও তার সম্মতি আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের নির্বাচন প্রচারণা কমিটির কো চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম। তিনি বলেন, এরশাদ নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার বাইরে কিন্তু অন্যান্য দলীয় প্রধান প্রচারণায় আছেন তাহলে কী বোঝা যায় এরশাদ নির্বাচনে নেই? এ ধরনের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এরশাদ নির্বাচনী প্রচারণায় না থাকলেও তার অন্যান্য শীর্ষ নেতারা রয়েছে।

এইচ টি ইমাম বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ হওয়ার ব্যাপারে গ্যারান্টি দেয়া যাচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করব নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয় এবং ভোটাররা নির্বিঘে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।

আগামী ২ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভার বিষয়ে অনুমতি নিতে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে বিকাল ৫টায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের জনসভার বিষয়ে আমরা অনুমতি নিতে এসেছি, আমরা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছি যে, এখানে লক্ষাধিক লোকের সভাবেশ হবে। আইন অনুযায়ী এটা করা যায় কিনা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আমাদের এটা না করতে পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী তিনটির বেশি মাইক ব্যবহার আইন অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ।

দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাগুলো আইন মেনে হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি বেশিরভাগ পথসভা করছেন। এতে আইন মেনে তিনি বক্তব্য দিচ্ছেন।

নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হওয়ার উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের ৫৯টি জেলার ১৪৭টি আসনে নির্বাচন হবে। আমাদের কাছে তথ্য আছে এই নির্বাচনগুলো প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হবে।

ভোটারদের ভীতি দূর করা আমাদের দায়িত্ব উল্লেখ করে এইচটি ইমাম বলেন, বিরোধীজোট বিভিন্নভাবে সহিংসতা করে যাচ্ছে। এখন আবার অবরোধ ডেকেছে আমাদের বিশ্বাস আমরা অবরোধ ভেঙ্গে ফেলতে পারব। ভোটারদের ভীতি দূর করা আমাদের দায়িত্ব।

ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা ড.মশিউর রহমান বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) দেশের স্বার্থে যে চেতনায় সংবাদ সংগ্রহ করেন একই চেতনায় ভোটারেরা দেশের স্বার্থে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।

রাজনৈতিক সহিংসতার জন্য জামায়াতকে দায়ী করে এইচটি ইমাম বলেন, দেশের বর্তমান সহিংসতা বিরোধী দল করছে না। করছে জামায়াত-শিবির। এরা দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। তাদের মূল উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল নয়, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো।

বিএনপি সহিংসতার বাইরে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু বিএনপি জামায়াতের স্বার্থ দেখছে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী অবরোধ দিচ্ছে সুতরাং তারাও জড়িত। এরা মূলত দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে।

৫ জানুয়ারি নির্বাচন হয়ে গেলে বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলোচনা সমঝোতার পথ সব সময় খোলা। আমাদের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তো এই বিষয়ে আগেই বলেছেন।

বিটিভিতে সরাসরি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রচারে নির্বাচনী আইন ভঙ্গ হয়েছে উল্লেখ করলে তিনি বলেন, বিটিভি নয় শুধু অন্য টেলিভিশনেও এটা প্রচারিত হয়েছে। তবে এখানে বিটিভিকে অনুরোধ করা হয়েছে নাকি তারা নিজেদের মত করে প্রচার করেছে তা আমার জানা নেই।

আগামী ৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে বিটিবি ও বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন বলেও জানান তিনি।

দ্য রিপোর্ট/ মাহফুজ স্বপন/এনআই/ডিসেম্বর ৩১, ২০১৩।