দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বস্তি শুমারির প্রাথমিক ফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পরিসংখ্যান ভবনে মঙ্গলবার আয়োজিতে এক আলোচনা সভায় এ ফল প্রকাশের কথা জানানো হয়।

বিবিএস সূত্রে জানা যায়, রাজধানীতে এক হাজার ৩৯৬ বস্তিতে বাস করছে ছয় লাখ ৭৪ হাজার ৮৯১ মানুষ। এর মধ্যে পুরুষ তিন লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৯ এবং মহিলার সংখ্যা তিন লাখ ২৮ হাজার ৫২ জন। আর পরিবারের (খানা) সংখ্যা হচ্ছে এক লাখ ৬৬ হাজার ২৭টি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বস্তি শুমারি ও ভাসমান লোক গণনার প্রাথমিক দ্রুত গণনা (কুইক কাউন্ট) ২০১৪ তে এ সব তথ্য উঠে এসেছে। বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে এই শুমারির মূল কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও কোয়ালিশন ফর দ্য আরবান পুওর এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বস্তি শুমারি ও ভাসমান লোক গণনা কার্যক্রম। বস্তি শুমারি ও ভাসমান লোক গণণা কর্মসূচি শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক গোলাম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব নজিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আজিজুর রহমান ও কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর একেএম মুসা। এ ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, এনজিও প্রতিনিধি এবং বিবিএস এর কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজিবুর রহমান বলেন, এ শুমারির মাধ্যমে যে হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে তা উন্নয়ন পরিকল্পনাসহ গবেষক, নীতিনির্ধারক ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজে লাগবে। এ ছাড়া সরকারি পরিকল্পনা গ্রহণ, প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজে আসবে।

সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো যে বস্তি শুমারি ও ভাসমান লোক গণনা ২০১৪ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তার আওতায় দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা সদরে বিস্তৃত। এ বিশাল কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা ছাড়া বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর একার পক্ষে তা সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এ মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও স্টেকহোল্ডারগণের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করে মাঠ পর্যায়ে সে মোতাবেক কাজ পরিচালনা করা সহজতর হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়। সবার সহযোগিতায় শুমারির কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে এবং শুমারি তথ্যের গুণগতমান বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে বলেও সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/জেজে/এপি/এমএআর/ডিসেম্বর ৩১, ২০১৩)