বস্ত্রখাতের প্রণোদনা নিয়ে ৫ জানুয়ারি বৈঠক
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বস্ত্রখাতে বিশেষ প্রণোদনা প্রদানের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে আগামী ৫ জানুয়ারি সংশ্লিষ্ট খাতের তিন সংগঠনের (বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে এ কথা জানান।
চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ১১ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রীর কাছে ৮ দফা দাবি জানান বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ’র নেতারা। এ পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দাবিসমূহ পর্যালোচনা করে চলতি মাসের মধ্যেই সরকারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে বলে অর্থমন্ত্রী তাদের জানিয়েছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি জানান, প্রণোদনার ব্যাপারে সর্বশেষ অগ্রগতি জানতেই তারা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন।
অর্থমন্ত্রী তাদের কী বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন যে, প্রস্তাবগুলো এখনো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তিনি আমাদের সবাইকে (বিকেএমইএ ও বিটিএমএ) নিয়ে ৫ তারিখ (জানুয়ারি) আসতে বলেছেন।
তিন সংগঠনের উল্লেখযোগ্য দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে উৎসকর দশমিক ৮০ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ২৫ শতাংশ করা; নতুন বেতন স্কেল অনুযায়ী গার্মেন্টস শ্রমিকদের চার মাসের (নভেম্বর ’১৩- ফেব্রুয়ারি ’১৪) বেতন ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে প্রদান ও এই অর্থ একটি সুদবিহীন ব্লকড একাউন্টে রেখে ২ বছর মেয়াদে প্রদানের সুযোগ; সকল ধরনের মেয়াদী ঋণ/প্রকল্প ঋণ/এলটিআর/এমপিআই/ফোর্সড ২ বছরের জন্য সুদবিহীন ব্লকড একাউন্টে রাখা; লোন চলমান পরিস্থিতিতে পোশাকশিল্প খাতের কোনো ব্যাংক ঋণ শ্রেণীবিন্যাসিত না করা; রফতানি আয়ের উপর প্রতি ডলারের বিনিময় হারে ৩ টাকা হারে বিশেষ বোনাস প্রদান, টিটি’র বিপরীতে বিশেষ প্রণোদনা প্রদান ইত্যাদি।
এদিকে প্রণোদনার বিশেষ সুবিধা পেতে অধিকাংশ ব্যবসায়ী নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত দেখানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ৬ মাসের জন্য ছাড় দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার পর এ প্রবণতা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত: হরতাল-অবরোধের মধ্যেও তৈরি পোশাকশিল্পে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের রফতানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২০ শতাংশ।
বিজিএমইএ’র সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, মাত্র দুই ডজন প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু সবার জন্য সরকারি সহায়তা চাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট খাতের নেতারা।
(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এসবি/ডিসেম্বর ৩১, ২০১৩)