সোবহানের বিরুদ্ধে নয় অভিযোগ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে আট ধরনের অপরাধের মোট নয়টি অভিযোগ গঠন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এর মধ্যে রয়েছে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ষড়যন্ত্র।
তার বিরুদ্ধে যে নয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে-
প্রথম অভিযোগ: সহযোগী জামায়াত নেতা ও বিহারীদের নিয়ে পাবনার ঈশ্বরদীর জামে মসজিদে আশ্রয় নেওয়া স্বাধীনতাকামী লোকদের অপহরণ করে হত্যা।
দ্বিতীয় অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল আব্দুস সুবহানের নেতৃত্বে ও উপস্থিতিতে ঈশ্বরদীর যুক্তিতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে লুটপাটসহ ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে তিনজনকে গুরুতরভাবে আহত এবং পাঁচজন নিরস্ত্র লোককে হত্যা করা হয়।
তৃতীয় অভিযোগ: ১৬ মে ঈশ্বরদী অরণখোলা গরুর হাট থেকে দুইজনকে অপহরণ করে জেলা পরিষদ ডাক বাংলোতে (ঈশ্বরদী, পাবনা) নিয়ে নির্যাতন।
চতুর্থ অভিযোগ: ২ মে তার নেতৃত্বে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক ঈশ্বরদীর সাহাপুর গ্রামে অসংখ্য বাড়িঘরে লুটপাট করে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং কয়েকজনকে হত্যা করে।
পঞ্চম অভিযোগ: ১১ মে তার নেতৃত্বে ও উপস্থিতিতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী পাবনা সদর থানার কুলনিয়া ও দোগাছি গ্রামে অভিযান চালিয়ে সাতজন নিরীহ-নিরস্ত্র, স্বাধীনতাকামী লোককে হত্যা এবং কয়েকটি বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়।
ষষ্ঠ অভিযোগ: ১২ মে তার নেতৃত্বে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর একটি বিরাট বহর সুজানগরের কয়েকটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তিন-চারশ’ মানুষকে হত্যা এবং বিভিন্ন বাড়িঘরে লুটপাট চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে।
সপ্তম অভিযোগ: ২০ মে তার নেতৃত্বে পাবনা সদর থানার ভাড়ারা গ্রাম থেকে ১৮ জনকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে একজনকে ওই গ্রামের একটি স্কুলে হত্যা করা হয়। বাকি ১৭ জনকে সদর থানার নূরপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিয়ে নির্যাতনের পরে আটঘরিয়া থানার দেবত্তোর বাজারের পাশে বাঁশবাগানে গুলি করে হত্যা করে।
অষ্টম অভিযোগ: সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে আতাইকুলা থানার (সাবেক পাবনা সদর থানা) দুবলিয়া বাজার থেকে দুইজন স্বাধীনতাকামী লোককে অপহরণ করে কুচিয়ামাড়া গ্রামে একটি মন্দিরের ভিতরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
নবম অভিযোগ: ৩০ অক্টোবর রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে ঈশ্বরদীর বেতবাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট চালিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং চারজনকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে।
(দ্য রিপোর্ট/এসএ/ডব্লিউএস/জানুয়ারি ০১, ২০১৪)