পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্যের ৪ দফা দাবি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে স্থায়ী স্থিতিশীলতা আনয়নে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে ৪ দফা দাবি জানিয়েছে বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্য।
বুধবার সকালে সংগঠনটির সভাপতি মো. রুহুল আমিন আকন্দ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিএসইসিতে দাখিল করা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়-
১. গত ১০ ডিসেম্বর মতিন স্পিনিং মিলস লিমিটেডকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকভিুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। ১০ টাকা ফেস ভ্যালুর সঙ্গে অতিরিক্ত ২৭ টাকা প্রিমিয়াম নিয়ে ৩ কোটি ৪১ লাখ শেয়ারের বিপরীতে ১২১ কোটি ১৭ লাখ টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয় কোম্পানটিকে। এতে বিনিয়োগকারীরা একটি মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারেন এবং এ কোম্পানি বাজার অস্থিতিশীল করে তুলবে। তাই মতিন স্পিনিং মিলসের আইপিও আবেদন বাতিলের জোর দাবি জানানো হচ্ছে। অন্যথায় বিনিয়োগকারীরা বৃহত্তর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে।
২. পুঁজিবাজারের উন্নয়নে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ তথ্য বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে প্রকাশ করা উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্ব। কিন্তু উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে একই কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। যা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে প্রভাব পড়ছে। কাজেই এ বিষয়ে বিএসইসিকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া দেশের একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীনে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে ভিন্ন সময়ে লেনদেন নিষ্পত্তির চালুর বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাই ডিএসইতে দ্রুত নতুন লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা (টি-২) চালুর জোর দাবি জানাচ্ছি।
৩. তালিকাভুক্ত কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে আপ্যায়ন ও উপহার সামগ্রী বন্ধ করার নির্দেশ দ্রুত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। কারণ, ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি এজিএমে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ দালালদের মাধ্যমে এজিএমে তাদের অনৈতিক প্রস্তাবনা অনুমোদন করে নিচ্ছে।
৪. অন্যান্য মার্চেন্ট ব্যাংকের মতো আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের অর্ডার কেন তাৎক্ষনিকভাবে কেনা-বেচা (বাই-সেল) কার্যকর হচ্ছে না তা তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি। এ ধরণের কর্মকান্ড বিনিয়োগকারীদের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাই এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা হচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এইচকে/রা/জানুয়ারি ১, ২০১৪)