মিতার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি
পার্বতীপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা : জেলার পার্বতীপুরে শ্বশুর বাড়ির লোকদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ আফিয়া জামান মিতা (২০) টানা ১৬ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেছেন।
পার্বতীপুর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বুধবার সকাল ১১টায় মিতার লাশ নিয়ে রেলওয়ে শ্রমিকলীগ ও স্থানীয়রা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে।
মানববন্ধনের পর জানাজা শেষে দুপুর ২টায় চান্দোয়াপাড়া পারিবারিক কবরস্থানে মিতাকে দাফন করা হয়।
মিতা পার্বতীপুরের রেলেওয়ে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার কর্মচারি ও শহরের দক্ষিণপাড়া মহল্লার সৈয়দ বদিউজ্জামানের মেয়ে। গত বছর ১১ অক্টোবর রোস্তমনগর মহল্লার রেল কর্মচারি ওয়াসিবুর রহমান শুভর সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
মিতার ফুফা তোজাম্মেল হোসেন কাজী জানান, রোস্তমনগর মহল্লায় স্বামীর বাসায় শাশুড়ি নাসিমা বেগম ও ননদ তামান্না ইয়াছমিন গত ১৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে আফিয়া জামান মিতার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে মিতার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়। মুমূর্ষ অবস্থায় রাতেই তাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পর দিন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে তিনি মারা যান।
(দ্য রিপোর্ট/এসএস/এমএআর/এসএ/জানুয়ারি ০১, ২০১৩)