জোসনা জামান, দ্য রিপোর্ট : বাংলাদেশের দুই প্রকল্পের জন্য প্রায় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ওয়াশিংটনে অবস্থিত সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়।

ঢাকায় নিযুক্ত সংস্থাটির যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহরিন এ মাহবুব দ্য রিপোর্টকে জানান, অনেক দিন আগে এ ঋণ প্রস্তাব জমা দেওয়া ছিল। হঠাৎ করেই গত ৩১ ডিসেম্বর এ ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক বোর্ড। এখনো কোন গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানানো হয়নি। ২ জানুয়ারি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।

বিশ্বব্যাংক সূত্র জানায়, দুটি প্রকল্পের অনুকূলে এ ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একটি নতুন প্রকল্প, অন্যটি চলমান প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থায়ন। নতুন প্রকল্পটি হচ্ছে মডার্ন ফুড সেন্টার ফ্যাসিলিটিজ প্রজেক্ট। এ প্রকল্পের অনুকূলে দেওয়া হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা (২১ কোটি মার্কিন ডলার)। অপরটি হচ্ছে চলমান ইমার্জেন্সি সাইক্লোন ২০০৭ রেসপন্স প্রজেক্ট। এর আওতায় দেওয়া হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ৫২০ কোটি টাকা (১৯ কোটি মাকিন ডলার)।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) উপ-প্রধান জাহাঙ্গীর আলম দ্য রিপোর্টকে জানান, বিশ্বব্যাংকের বোর্ডে ঋণ অনুমোদনের পর লিগ্যাল ওপিনিয়নের পরই সাধারণত চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। তা ছাড়া যদি একনেকে অনুমোদন না হয় সে ক্ষেত্রে অনুমোদনের পরই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।

মডার্ন ফুড সেন্টার ফ্যাসিলিটিজ প্রজেক্ট সম্পর্কে জানা গেছে, এর মাধ্যমে পরিবার পর্যায়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। বিশেষ করে দুর্যোগপরবর্তী সময়ে যাতে আক্রান্ত পরিবারগুলো তাদের খাদ্যের প্রয়োজন মেটাতে পারে। এ লক্ষ্যে খাদ্যশস্যের মজুদ বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।

অন্যদিকে ইমারজেন্সি সাইক্লোন ২০০৭ রেসপন্স প্রজেক্ট সম্পর্কে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সংঘটিত প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডরের ক্ষয়ক্ষতি পুনর্বাসনের জন্য প্রাথমিকভাবে বিশ্বব্যাংক ১০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদান করে। এরপর বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে অন্য ৮টি উপ-প্রকল্পের মাধ্যমে ইমারজেন্সি ২০০৭ সাইক্লোন রিকভারি এন্ড রেস্টোরেশন প্রজেক্ট (ইসিআরআরপি) নামের একটি মূল প্রকল্প (আমব্রেলা প্রজেক্ট) গ্রহণ করে বাংলাদেশ। এর মধ্যেই একটি প্রকল্প হচ্ছে ইমারজেন্সি সাইক্লোন ২০০৭ রেসপন্স প্রজেক্ট।

সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংক সহজ শর্তে এসব ঋণ প্রদান করছে। এই ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ৪০ বছর। এ ক্ষেত্রে বার্ষিক সার্ভিস চার্জ শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।

(দ্য রিপোর্ট/জেজে/জেএম/এনআই/জানুয়ারি ০১, ২০১৪)