দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টির (জাপা) সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদ অসুস্থ আর মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত। তাই তারা দুজনই আসতে পারেননি।

রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে বৃহস্পতিবার দুপরে এমন দাবি করেই জাপার পক্ষ থেকে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করলেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

তিনি এ সময় দাবি করেন, এই ইশতেহারের প্রতিটি অক্ষর পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

ইশতেহার ঘোষণাকালে জাপার নেতাদের মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, নাসিম ওসমান, তাজুল ইসলাম চৌধুরি, মাইদুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম উপস্থিত ছিলেন।

ব্যারিস্টার আনিস বলেন, ‘জাপা মনে করে গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচনের বিকল্প নেই। নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকারের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি।’

এ ছাড়া নর্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা থেকে জাপার কেউ পদত্যাগ করেননি বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিরোধী দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও বর্জনের অধিকার রয়েছে। এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু গণতন্ত্রের অধিকার রক্ষা করতে গিয়ে অন্যদের ভোটের অধিকার হরণ করতে পারেন না তারা।

জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদেরের অনুপস্থিতির বিষয়ে ব্যারিস্টার আনিস বলেন, ‘একজন প্রেসিডিয়াম সদস্যকে নিয়ে কোনো উত্তর দিতে রাজি নই আমি। এখানে অনেক প্রেসিডিয়াম সদস্যই অনুপস্থিত। এ ছাড়া তিনি নিজেও নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত।’

ঘোষিত ইশতেহারে এরশাদের অনুমতি আছে কিনা বা তিনি জানেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইশতেহারের প্রতিটি অক্ষর উনি নিজেই দিয়েছেন।’

‘শান্তির জন্য পরিবর্তন- পরিবর্তনের লক্ষ্যে জাতীয় পার্টি’ এই স্লোগান সামনে রেখে ৮ দফার সমন্বয়ে ঘোষণা করা হয়েছে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার। ইশতেহারে অর্থনৈতিক বিষয়ে গুরুত্ব না দিয়ে রাজনৈতিক বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

জাপার ইশতেহারের ৮ দফার মধ্যে রয়েছে : ১. ইসলামী মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার মাধ্যমে সংবিধানে আল্লাহর উপর আস্থা পুনঃস্থাপন করা। ২. রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তন এনে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন। ৩. পূর্ণাঙ্গ উপজেলা বাস্তবায়ন। ৪. নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন। ৫. বিচার বিভাগকে সম্পূর্নভাবে দলীয়করণ মুক্ত। ৬. মাদক নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা প্রদান। ৭. গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা ও কর্মপদ্ধতি পুরানো ব্যবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া। ৮. জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সময়পোযোগী পদক্ষেপ নেওয়া।

(দ্য রিপোর্ট/সাআ/এআইএম/এমএআর/জানুয়ারি ০২, ২০১৪)