ডিএসইতে ১১ ও সিএসইতে ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন
নূরুজ্জামান তানিম, দ্য রিপোর্ট : ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী নতুন পর্ষদের জন্য চারজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক বাছাইয়ের লক্ষ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর ১৩ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ডিএসই এবং সিএসইর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
নির্বাচিত চারজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও মনোনীত সাতজন স্বতন্ত্র পরিচালক, একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ মোট ১২জন সদস্যের নতুন পর্ষদ গঠন করবে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ। এ ক্ষেত্রে আইনানুসারে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে ১৩ সদস্যের পৃথক পর্ষদ গঠনের কথা থাকলেও স্ট্রাটেজিক ইনভেস্টর ডিরেক্টর (কৌশলগত বিনিয়োগকারী পরিচালক) ছাড়াই পর্ষদ গঠন করা হচ্ছে বলে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
নির্বাচনের বিষয়টি সিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ সাজিদ হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে দ্যরিপোর্টকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সিএসইর ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী নতুন পর্ষদের জন্য চারজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক বাছাই করতে ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। সিএসইর পর্ষদ ও গঠিত নির্বাচন কমিটির অনুমোদিত এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা ইতোমধ্যে তৈরী করা হয়েছে। নীতিমালা অনুসারে নির্বাচন কমিটি নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা ও ফলাফল ঘোষণা করবেন।’
এ দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্যরিপোর্টকে বলেন, ‘ডিএসইর ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী নতুন পর্ষদ গঠনে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে চারজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নির্বাচিত হবেন। আর ১৩ ফেব্রুয়ারি আমরা এজিএম আয়োজন করব। তবে নির্বাচন ও এজিএম অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন তারিখের বিষয়ে ডিএসইর নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি ডিএসইর পর্ষদ সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এদিকে নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ নির্বাচন কমিশন বা কমিটি গঠন করেছে। পাশাপাশি সিএসই একটি আপিল কমিটি গঠন করেছে। ডিএসইর নির্বাচন কমিশনে রয়েছেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ এম শামসুল হক (নির্বাচন কমিশনার), দিয়া সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমান সেলিম ও মার্চেন্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল উদ্দিন। আর সিএসইর নির্বাচন কমিটিতে রয়েছেন- অ্যাডভোকেট ওয়াহিদা ইসলাম (চেয়ারম্যান), কমিশনার অ্যাডভোকেট মো. আক্তার হোসেন ও কমিশনার সাইদুল মোস্তফা চৌধুরী। সিএসইর আপিল কমিটির চেয়ারম্যান হলেন- অ্যাডভোকেট কাজী সানোয়ার আহমেদ। এ ছাড়া কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- মো. খোরশেদ আলম তালুকদার ও খান মোহাম্মদ নাদের।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত নীতিমালা যাচাই-বাছাই করে সিডিউল ঘোষণা করা হবে। আর নীতিমালা অনুমোদনের পরের দিন থেকে নূন্যতম ২১ দিনের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। যদিও ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনানুসারে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করতে বলা হয়েছে।
এদিকে স্ট্রাটেজিক ইনভেস্টর ডিরেক্টরের বিষয়ে ডিএসইর সিইও স্বপন কুমার বালা দ্যরিপোর্টকে বলেন, ‘১৩ সদস্যের পরিবর্তে বর্তমানে ডিএসইর ১২ সদস্যের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হবে। কারণ, এখন পর্যন্ত স্টাট্রেজিক ইনভেস্টর পরিচালক নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি। তাই ১২ সদস্যের পর্ষদ গঠন করা প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আইনানুসারে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের সনদ পাওয়ার দিন থেকে (২১ নভেম্বর) তিন বছরের মধ্যে যে কোনো দিন এ পরিচালক নেওয়ার বিষয়ে বিএসইসি নির্দেশ দিতে পারে। আর নির্দেশ পাওয়ার পরবর্তী এক বছরের মধ্যে ডিএসইকে স্টাট্রেজিক ইনভেস্টর পরিচালক নিতে হবে।’
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এইচকে/জানুয়ারি ২, ২০১৩)