পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ১৪ জানুয়ারি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে ১৪ জানুয়ারি, মঙ্গলবার| বৃহস্পতিবার রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে আরবি ১৪৩৫ হিজরির রবিউল আউয়াল মাস।
ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাত (মৃত্যু) দিবস হিসেবে পালন করে। সেই হিসেবে ১৪ জানুয়ারি, ১২ রবিউল আউয়াল।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ১৪ জানুয়ারি ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সভায় বাংলাদেশের আকাশে রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখার কথা জানানো হয়।
সভায় প্রধান তথ্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব প্রফেসর মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্পারসো, ঢাকা জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের আরবি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ মক্কার কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩ বছর বয়সে এ দিন তিনি মৃত্যুবরণ করেন। দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে সারা পৃথিবীর মুসলমানরা পালন করে থাকে। মিলাদ আরবি শব্দ। এর অর্থ জন্মবৃত্তান্ত। আর মিলাদুন্নবী (সা.) অর্থ হচ্ছে নবী করিম (সা.) এর জন্মবৃত্তান্ত সম্পর্কে আলোচনা করা।
আরবের মরু প্রান্তরে শান্তির ধর্ম ইসলামের প্রচার শুরু করেন হযরত মুহম্মদ (সা.)। তাঁর আবির্ভাব ও ইসলাম ধর্মের প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ইসলাম ধর্মমতে, মহানবীর (সা.) জন্মের আগে পৃথিবীর মানুষ আল্লাহর বিধান ও নবী-রাসূলের আদর্শ ভুলে অনাচার ও পাপাচারে লিপ্ত ছিল। তাদের আচার-আচরণ ছিল বর্বর ও মানবতাবিরোধী। শৃঙ্খলা-নিয়মানুবর্তিতা বলতে কিছু ছিল না। এ কারণে এ সময়কে অন্ধকার যুগ বলা হয়।
তখন মহান আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয় হাবিব মহানবী (সা.)-কে মানবজাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। ৪০ বছর বয়সে নবুয়্যত পাওয়ার পর তিনি বিশ্ববাসীকে মুক্তি ও শান্তির পথে আহ্বান জানান। তিনি সব ধরনের কুসংস্কার, গোঁড়ামি, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্ত্বার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে এনেছিলেন। তিনি সত্য ও ন্যায়ের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। মহানবী (সা.) দীর্ঘ ২৩ বছর ইসলাম ধর্ম প্রচার করে ৬৩ বছর বয়সে ইহলোক ত্যাগ করেন।
ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে মসজিদ ও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এমএইচও/জেএম/এসএ/জানুয়ারি ০২, ২০১৪)