দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নারীর ক্ষমতায়নে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ‘সম্মানসূচক ডিগ্রি’ দেবে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব এসেক্স। আগামী জুলাইয়ে ইউনিভার্সিটির সুবর্ণজয়ন্তী ও গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে এই ডিগ্রি দেওয়া হবে।

স্পিকার ২০০০ সালে ওই ইউনির্ভাসিটি থেকে ‘রাইট টু লাইফ’ পিএইচডি লাভ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অ্যান্টনি ফরসটারের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বুধবার শিরীন শারমিনের হাতে পৌঁছায়।

এ বিষয়ে স্পিকার দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদককে বলেন, ‘এটা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের। আগামী ১৫ জুলাই এ ডিগ্রি দেওয়ার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’

৩০ এপ্রিল দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে শপথ নেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। এবারই প্রথম আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে তাকে মনোনীত করা হয়। স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।

শিরীন শারমিনের জন্ম ১৯৬৬ সালে ৬ অক্টোবর ঢাকায়। বাবা রফিকউল্লাহ চৌধুরী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব। মা অধ্যাপক নাইয়ার সুলতানা বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সদস্য ছিলেন।

১৯৮৩ সালে ঢাকা বোর্ড থেকে মানবিক বিভাগে সম্মিলিত মেধাতালিকায় প্রথম স্থান নিয়ে এসএসসি পাস করেন শিরীন। দুই বছর পর একই বোর্ড থেকে মানবিক বিভাগে সম্মিলিত মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান নিয়ে এইচএসসি পাস করেন।

১৯৮৯ সালে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) ও ১৯৯০ সালে অবস্থান অটুট রেখেই এলএলএম ডিগ্রি নেন শিরীন শারমিন। এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান তিনি।

শিরীন বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ১৯৯২ সালে। ১৯৯৪ সালে হাইকোর্ট বিভাগ ও ২০০৮ সালে আপিল বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হন।

আইনজীবী হিসেবে পেশাগত জীবনে নারীর সমঅধিকারের জন্য কাজ করেছেন শিরীন শারমিন। তিনি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার সময়েই ‘নারী উন্নয়ন নীতিমালা’ পাস হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরএইচ/এসবি/এসআই/জানুয়ারি ০২, ২০১৪)