খালেদা জিয়ার দুই মামলার শুনানি পেছালো
রবিবার শুনানির দিন ধার্য থাকলেও খালেদা জিয়া হাজির না হওয়ায় ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার ও জাকীর হোসেন আদালতে শুনানি পেছানোর আবেদন করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সংসদ অধিবেশন ডাকার সাতদিন আগে ও শেষ হওয়ার সাতদিন পর পর্যন্ত কোনো সংসদ সদস্যকে আদালতে উপস্থিত করা যাবে না। সংসদ অধিবেশন চলমান থাকায় খালেদা জিয়া হাজির হতে পারছেন না।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ সময় অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর বিরোধিতা করেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার দুই আসামি বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার দুই আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
মামলায় খালেদা জিয়াসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
এ মামলার অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এদের মধ্যে হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকে পলাতক আছেন।
অন্যদিকে, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুদক রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। মামলায় দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। পরে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনকে এ মামলায় আসামি করে অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হয়।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। এদের মধ্যে প্রথম দুজন জামিনে আছেন। অন্য দুজন শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।
(দিরিপোর্ট২৪/ওএস/এমএআর/জেএম/অক্টোবর ০৬, ২০১৩)