দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বেরিয়ে আসতে ইস্তাম্বুল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমন্বয় ও পরিবীক্ষণের জন্য কমিটি গঠন করেছে সরকার।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত ২২ ডিসেম্বরের একটি আদেশ গত বৃহস্পতিবার জারি করা হয়েছে।

দারিদ্র্য দূর করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের করণীয় নির্ধারণে গত ১২ আগস্ট ইস্তাম্বুল কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

২৭ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে। এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন- পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব। কমিটিতে আরো রয়েছেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইএমইডি (বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ), অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, দুযোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যাণ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, পরিকল্পনা বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য।

এ কমিটি এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ-পরিকল্পনা ও উত্তরণ-কৌশল প্রণয়ন এবং উত্তরণ সংশ্লিষ্ট কর‌্যাবলী নির্বাহের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের মধ্যে যথাযথ কর্মবণ্টণ করবে। এলডিসির তিনটি নির্ণায়কের মানোন্নয়কারী কর্মসূচিগুলো সমন্বয়ের জন্য লিড মন্ত্রণালয় বা বিভাগ নির্ধারণ করবে। এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ও অর্জন এবং লক্ষ্যমাত্রার আলোকে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য অবস্থান চিহ্নিত করবে। কমিটি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করবে। কমিটি বছরে কমপক্ষে দুইবার মিলিত হবে বলেও আদেশে বলা হয়েছে।

২০১১ সালের মে মাসে তুরস্কে এলডিসিভুক্ত ২৫টি দেশের চতুর্থ জাতিসংঘ সম্মেলনে তুরস্ক ও ইস্তাম্বুল কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়। এর আগে ২০০১ সালে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ব্রাসেলসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুটি সম্মেলনেই যোগ দিয়েছিলেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি সূচকেই বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ৯২৩ ডলার। পৌঁছাতে হবে এক হাজার ১৯০ ডলারে। মানবসম্পদ সূচক ৯৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে উত্তরণের কাছাকাছি। সুশাসন, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছেছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের মধ্যে সবগুলো সূচকেরই উত্তরণ ঘটানো সম্ভব হবে বলে মনে করছে সরকার। যদিও ২০২১ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/জেএম/জানুয়ারি ০৩, ২০১৪)