এমিলির গোল হার এড়ালো মোহামেডান
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ম্যাচের ৯০ মিনিট এগিয়ে থেকেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি মুক্তিযোদ্ধা। অতিরিক্ত সময়ে এমিলি ভাগ বসিয়েছেন তাদের পয়েন্টে। পেনাল্টি থেকে দেশ সেরা এ ফরোয়ার্ডের গোলেই হার এড়িয়েছে মোহামেডান।
শুক্রবার ১-১ গোলে ড্রতে নিষ্পত্তি হয়েছে ঘরোয়া ফুটবলের দুই জায়ান্ট মোহামেডান ও মুক্তিযোদ্ধার ম্যাচ।
লাতিন ফুটবলের পূজারী মোহামেডানের পর্তুগিজ কোচ রুই ক্যাপেলা বাতিস্তা। শিষ্যদের এই শিক্ষাটাই দেবেন- ঢাকাই পা রেখে এমনটাই বলেছিলেন এ পর্তুগিজ। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচ তার শিষ্যদের খেলা দেখে শৈল্পিকতার ছিটে-ফোটাও নজরে আসেনি। মৌসুমের প্রথম আসরের মতোই সেই অগোছালো ফুটবল; গোল মিসের মহড়া আর ভুল পাসিংয়ে মহোৎসবে মেতেছিল সাদা-কালো শিবির। ম্যাচের ২৪ মিনিটে সুযোগ এসেছিল তাদের। কিন্তু বক্স থেকে নেওয়া এমিলির দুর্বল শট খুব সহজেই লুফে নেন মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক লিটন। ৩৬ মিনিটে সাদা-কালো শিবিরের আরেক ফরোয়ার্ড ওয়াহেদও বক্সে বল পেয়ে তুলে দেন গোলরক্ষক লিটনের হাতে। বিরতির আগ মুহূর্তে ভালো একটি সুযোগ এসেছিল মুক্তিযোদ্ধারও। প্রতিপক্ষের বিপদ সীমানায় বিপ্লবের কাছ থেকে বল পেয়ে এনামুলের শট পোস্ট ঘেসে মাঠের বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোল শূন্যভাবেই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মোহামেডানের অধিনায়ক এমিলি মুক্তিযোদ্ধার বক্সে বল পেয়ে যে শটটি নেন; তা বার উচিয়ে চলে যায়। ৬৩ মিনিটে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে মুক্তিযোদ্ধা। বিপুলের ক্রসে ওপেন নেটে মাথা ছোঁয়াতে ব্যার্থ হন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এনকোচা কিংসলে। তবে ৮৬ মিনিটে সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফেলে অল-রেডরা। সাদা-কালো শিবিরের ডিফেন্ডারদের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ লুফে নেন এনকোচা কিংসলে। তিন ডিফেন্ডারের গা গলে বল পাঠিয়ে দেন মোহামেডানের জালে। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে মোহামেডানের মিডফিল্ডার জাহিদকে বক্সে অবৈধভাবে বাধা দেন নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার বেঞ্জামিন কুপার। পরে এ বাধার ফল ভোগ করতে হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাকে। পেনাল্টির নির্দেশ দেন ম্যাচ পরিচালনাকারী রেফারি মিজানুর রহমান। পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন এমিলি। ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলে অমিমাংশিত ভাবে।
মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে ড্র করলেও দলের পারফরম্যান্সে খুশি মোহামেডানের কোচ বাতিস্তা।
তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে ভাল অভিজ্ঞতা হয়েছে। চেষ্টা করেছি দলকে জয় এনে দিতে। সেটা হয়নি। তবে দল খারাপও খেলেনি। বরং প্রতিপক্ষের তুলনায় ভালই খেলেছে। দু-এক সপ্তাহের মধ্যে টিম গুছিয়ে ফেলতে পারব।’ অন্যদিকে জয় না পাওয়ায় হতাশ ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক।
তিনি বলেন, ‘ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল খাওয়াটা দুভার্গ্যজনক। তাও আবার পেনাল্টিতে। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। ম্যাচে আমরা জিততে পারতাম। কিন্তু সেটা না হওয়াতে তিন পয়েন্ট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছি।’
(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/এনডিএস/জানুয়ারি ৩, ২০১৩)