দক্ষিণ সুরমায় দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৪০
সিলেট সংবাদদাতা: জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দুই ঘন্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দক্ষিণ সুরমার পুরান তেতলী ও আহমদপুর গ্রামের অধিবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৪ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে ও একটি সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের(এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আয়ূব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে ২৪ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে ও একটি সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
স্থানীয়রা জানান, পুরান তেতলী গ্রামের সোনা মিয়া ও ইলিয়াছ আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলছে। বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। সর্বশেষ প্রায় দু’মাস আগে উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিশ বৈঠক হয় তেতলী গ্রামে। কিন্তু ইলিয়াছ আলীর পক্ষ সালিশের রায় প্রত্যাখ্যান করে শনিবার আরেকটি সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। ওই বৈঠকের সালিশান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় আহমদপুর গ্রামের শাহেদ খন্দকারকে। কিন্তু বৈঠকের আগের দিন শুক্রবার রাত ৮টায় শনিবারের পূর্বনির্ধারিত ওই সালিশ বৈঠক পেছানোর জন্য শাহেদ খন্দকার তেতলী গ্রামের ফরুক চৌধুরীকে ফোনে অনুরোধ করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ফোনে বাকবিতন্ডা হয়। পরে বিষয়টি শাহেদ খন্দকার মাইকিং করে গ্রামবাসীকে জানালে তারা উত্তেজিত হয়ে উঠেন। এরপরই উভয় গ্রামবাসী রাস্তায় নেমে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন।
গুরুতর আহত কয়েকজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এমজেসি/এইচকে/জানুয়ারি ৪, ২০১৪)