উত্তাপহীন নির্বাচনে রণ প্রস্তুতি ইসির
মাহফুজ স্বপন, দ্য রিপোর্ট : আজ বাদে কাল ভোট। বিরোধী দল ছাড়া একতরফা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ কারণে ভোটার বাড়াতে বিশেষ তৎপরতাও চালানো হচ্ছে। এত সংঘাত-সহিংসতার মধ্যে সাধারণ ভোটাররা কেন্দ্রে যাবে কিনা, এখনো নিশ্চিত নয় ইসি। তারপরও সব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে ইসি।
বিরোধী দলবিহীন এ নির্বাচনে ইতোমধ্যে ১৫৩ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, যা নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করছে বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। বিগত দিনের ৯টি সংসদ নির্বাচনে এমন নজির নেই। এর আগে এত কমসংখ্যক রাজনৈতিক দলও নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১২টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
এ ছাড়া নির্বাচন হবে মাত্র ১৪৭ আসনে। এতে প্রার্থী রয়েছেন মাত্র ৩৯০ জন। এ নির্বাচনে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রায় ৫ কোটি ভোটার।
ইসি সূত্র জানায়, এবারের বিরোধী দলবিহীন নির্বাচনে ৫৯ জেলার প্রায় ১৮ হাজার ২০৮ ভোটকেন্দ্রের প্রায় ৭৫ ভাগ ভোটকেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বিপোর্টের ভিত্তিতেই এ সংখ্যা নির্ধারণ করে ইসি।
তবে এ নির্বাচন নিয়ে কমিশনের কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, আলোচিত ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের চেয়েও ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে। ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ২৬ শতাংশ ভোট পড়েছিল। তবে নবম সংসদে রেকর্ড সংখ্যক ৮৭ শতাংশ ভোট পড়ে। এতে আওয়ামী লীগ ৪৭ শতাংশ ও জাতীয় পার্টি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।
দশম সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে সব ধরনের উদ্যোগ থাকলেও পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় ভোটে নির্বাচনী আমেজ থাকবে না।
অন্যদিকে নির্বাচনে ভোটের হার বাড়াতে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে উদ্বুদ্ধ করতে তথ্য মন্ত্রণালয়ও কর্মসূচি নিয়েছে। অংশগ্রহণকারী দলগুলোও কেন্দ্রে যেতে আহ্বান জানাচ্ছে।
তবে ভোটের এক দিন আগেও প্রার্থীদের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পৌঁছায়নি ভোটার স্লিপ। এ নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তারাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মাঠপর্যায় থেকে পাঠানো সর্বশেষ তথ্যে এ বিষয়টি ওঠে আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কমিশন।
শুক্রবার মাঠপর্যায়ের কয়েক কর্মকর্তা জানান, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থীরাই কেন্দ্র, ভোট নম্বর- এ জাতীয় তথ্য আগেই দিয়ে থাকেন। এবার সব থেকে কম প্রার্থী থাকায় ভোটার স্লিপ নিয়ে আগ্রহ নেই কারো। কেন্দ্রে ভোটারের নাম, নম্বর খুঁজে ভোট দিতে আগে যেখানে ১ মিনিট লাগত, এবার ৫ মিনিট লাগতে পারে। তবে কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীর পক্ষ থেকে ভোটার স্লিপ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু কম প্রার্থী থাকায় এ নিয়েও আমেজ নেই মাঠে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার ভোটকেন্দ্রে যেতে ভোটারদের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভোটের আগে জয় হয়ে গেছে এমন ভাববেন না। ৫ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে আসুন।’
একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদও ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্বাচনে দল, প্রার্থী ও ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা
এবার আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিসহ মাত্র ১২টি দলের ২৮৫ ও ১০৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন ১৪৭ আসনে। বাকি ১৫৩ আসনে প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে গেছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এতে ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ ভোটার রয়েছেন। মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৮ হাজার ২০৯টি। এতে ৯১ হাজার ২১৩ ভোট কক্ষ রয়েছে।
এ ছাড়া ১৫৪ আসনের ৪ কোটি ৮০ লাখের বেশি ভোটার অংশ নেবেন না। এর আগে ১৯৯৬ সালের বহুল আলোচিত ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপিসহ ৪১টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। ভোট পড়ে মাত্র ২৬ শতাংশ। এর মধ্যে বিএনপি পেয়েছিল ৭৭ শতাংশ।
ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসতে তৎপরতা
ইসি কর্মকর্তারা জানান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো ভোটে অংশ নিতে গ্রাহকদের এসএমএস দিচ্ছে। বার্তাগুলো হচ্ছে- ‘ভোট গণতান্ত্রিক অধিকার, নির্বাচনে ভোট দিয়ে আপনার অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখুন। নির্বাচনে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে; নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন।’
বরাবরের মতো এবারো ভোটের আগের দিন বিশেষ নম্বরে এসএমএস করে কেন্দ্র ও ভোটার নম্বর জানানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের তাগিদ
সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। গত ২০ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে ভোটারদের ব্যাপক সচেতনতা বাড়াতে ‘ভোটার এডুকেশন’ ক্যাম্পেইনের প্রস্তাব দেন তারা। ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সিইসি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আগে তো বলা যাচ্ছে না। দেখি কী হয়!’
ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। ভোটারদের নির্বিঘ্ন করতেই যত উদ্যোগ নিচ্ছি।’ নির্বাচনে ভালো ভোট পড়ার হার থাকবে বলে আশা করেন তিনি।
অতীত অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘১৫ ফেব্রুয়ারিতে টার্ন আউট ছিল মাত্র ২৬ শতাংশ। এবার তা বেশি হবে বলা যায় না।’
তবে অতিরিক্ত সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ভোটে অংশ নেওয়া ও ভোট পড়ার বিষয়টি রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভর করবে।’
আগের নির্বাচনগুলোর ভোটের হার
নবম সংসদে রেকর্ড সংখ্যক সর্বমোট ৮৭ শতাংশ ভোট পড়ে। ২০০৮ সালের নবম সংসদে ৩৮টি নিবন্ধিত দল অংশ নেয়। বিরোধী দল বিএনপি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ শতাংশ ভোট পায়। আওয়ামী লীগ পায় ৪৭ শতাংশ। সর্বশেষ গত অক্টোবরে বরগুনা-২ উপ-নির্বাচনে ৫১ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অংশ নিয়েছিল। নবম সংসদ নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট পড়লেও পরে উপ-নির্বাচনে ৩৪-৭৩ শতাংশ ভোটের নজিরও রয়েছে।
অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ৫৪টি রাজনৈতিক দল অংশ নিলে ভোট পড়ে ৭৫ শতাংশ। ৮১টি রাজনৈতিক দলের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ৭৫ শতাংশ ভোট পড়ে। ৫৫ শতাংশ ভোট পড়ে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে। এতে ৭৫টি দল অংশ নেয়। ১৯৮৮ সালের চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে ৮টি দলের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৫৫ শতাংশ। তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮টি দল অংশ নিয়েছিল। তাতে ৫০ শতাংশ ভোট পড়ে। ২৯টি দল অংশ নিলে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৫১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ নির্বাচনে ১৪টি দল অংশ নিয়ে ভোট পড়ে ৫৪ শতাংশ। দেশের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ১১ সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। দেশের ইতিহাসে প্র্রথমবারের মতো নির্বাচন বাতিল হয় ২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি।
প্রচার-প্রচারণা বন্ধ
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে ইসি। মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশসহ সব ধরনের প্রচার-প্রচারণাও শুক্রবার সকাল ৮টায় শেষ হয়। শনিবার রাত ১২টা থেকেই বন্ধ হবে সব ধরনের যান চলাচল। নির্বাচনী এলাকায় ৩ ও ৪ জানুয়ারি খোলা থাকে সব তফসিলি ব্যাংক। ৫৯ জেলার ১৪৭টি আসনে ভোটগ্রহণের জন্য সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভোটের আগের দিনই বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেছে ইসি। এ সব এলাকায় সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার কারণে ৫ জেলায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে না। ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রশিক্ষিত পৌনে ৩ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা। রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট নেওয়ার সব প্রস্তুতি অবহিত করে রিটার্নিং কর্মকর্তারা ইসি সচিবালয়কে জানিয়ে দিয়েছেন। ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা
শুক্রবার সকাল ৮টার পর সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় নির্বাচনী এলাকায় সভা, সমাবেশ, মিছিল ও শোভাযাত্রাও নিষিদ্ধ। একই সঙ্গে ভোট গ্রহণের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা সব ধরনের মিছিল-মিটিংয়ের ওপরও নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
যান চলাচল বন্ধ
শনিবার রাত ১২টা থেকে রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৫৯ জেলায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। মোটরসাইকেল চলাচল ৩ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
বিশেষ মনিটরিং সেল
নির্বাচনের সার্বিক অবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১ জানুয়ারি থেকেই কাজ শুরু করেছে বিশেষ মনিটরিং সেল। প্রাপ্ত পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে কমিশনকে অবহিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রতিটি এলাকায় ভিজিল্যান্সটিম ও অবজারবেশন টিম কাজ করছে। একই সঙ্গে এ সব এলাকায় সব ধরনের বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সশস্ত্রবাহিনী ও র্যাব হেলিকপ্টার ব্যবহার করবে
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনে র্যাব হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইসি সচিবালয় ও বাহিনীগুলোর অনুরোধে বিমানবাহিনী প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার, পরিবহনে সহায়তা দেবে। স্ব-স্ব বাহিনীর সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী রোগী/হতাহতদের জরুরি চিকিৎসা, স্থানান্তরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার সুবিধাজনক স্থানে মোতায়েন করবে বিমানবাহিনী।
সেনা সদরের বিবেচনায় প্রতিটি স্তরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনাসদস্য রিজার্ভ হিসেবে মোতায়েন থাকবে। তা ছাড়া দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে নির্বাচন কর্মকর্তা, নির্বাচনী মালামাল পাঠাতেও হেলিকপ্টার প্রয়োজন হয়।
এ লক্ষ্যে নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থেকে নির্বাচনের পরের দিন পর্যন্ত হেলিকপ্টার সার্ভিস দিতে সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক
ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের ২৯টিসহ ৪৪টি দেশি সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। তবে এখন পর্যন্ত বিদেশি কোনো পর্যবেক্ষক সংস্থা পর্যবেক্ষণের সম্মতি জানায়নি। শুক্রবার পর্যন্ত সাংবাদিকসহ নির্বাচন সংস্থার প্রায় সাড়ে ১০ হাজার পর্যবেক্ষক পর্যবেক্ষণ কার্ড সংগ্রহ করেছে ইসি থেকে।
ফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংগ্রহ ও পরিবেশন করা হবে। পাশাপাশি কমিশন সচিবালয়ে ফলাফল সংগ্রহের জন্য ১১টি তথ্য সংগ্রহ সেল থাকবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে ৪ লাখ সদস্য মোতায়েন
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে ইসি। নির্বাচনী মাঠে থাকছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় সাড়ে ৪ লাখ সদস্য। নির্বাচন পরিচালনা কর্মকর্তার বাইরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি, আনসার ব্যাটালিয়ন ও এপিবিএন সদস্যরা মাঠে সর্বক্ষণিক টহলে নেমেছে।
একই সঙ্গে গ্রামপুলিশ, চৌকিদার ও দফাদার নিয়োজিত থাকবে। পাশপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। এ সবের মধ্যে অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি, আনসার ব্যাটালিয়ন, গ্রামপুলিশ, চৌকিদার ও দফাদার থাকবে ২ লাখ ১৮ হাজার ৫০৮ জন। পুলিশ প্রতিকেন্দ্রে ৬ জনসহ থাকবে ১ লাখ ৯ হাজার ২৫৪ জন। সেনাবাহিনী থাকছে ৫০ হাজার। র্যাব থাকছে ৩০ হাজার। বিজিবি থাকছে ৬০ হাজার।
এ ছাড়াও উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড, পাহাড়ি ও দুর্গম এলাকায় বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
পাশপাশি ৩০০ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও ৬০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গুরুতর অপরাধে তাৎক্ষণিক সাজা দেবেন। সেনাবাহিনীর সঙ্গে সর্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএস/এনডিএস/শাহ/জানুয়ারি ৪,২০১৩)