দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিরোধীদলীয় নেতা অবরুদ্ধ কিনা জানার চেষ্টায় বিএনপির সংসদীয় দলের তৎপরতাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করেছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ।

তিনি বলেছেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতা আটক, গ্রেফতার কিংবা গৃহবন্দি নন।’

এ দিকে ‘তাকে (খালেদা জিয়া) বাসা থেকে বের হতে না দেওয়া, বাসার সামনে বালুর ট্রাক, জলকামান রাখা– এ সব হয়তো তাকে প্রটেকশন দেওয়ার জন্যই করা হয়েছিল’ বলে জানান হুইপ আ স ম ফিরোজ।

জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে শনিবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ কিনা জানতে চেয়ে শুক্রবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল। এর আগে তারা বৃহস্পতিবার স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং স্মারকলিপি প্রদান করেন।

বিএনপি সংসদীয় দল বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ কিনা জানতে চান। এ বিষয়ে স্পীকারের হস্তক্ষেপও কামনা করা হয়। একই দাবি তারা রাষ্ট্রপতির কাছেও জানান।

এর পরিপ্রেক্ষিতেই শনিবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন চিফ হুইপ। তিনি বলেন, ‘বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ সংসদ অবজ্ঞা করে স্পীকার ও রাষ্ট্রপতির কাছে অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে।’

বিরোধী জোটের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিকে ব্যঙ্গ করে আব্দুস শহীদ বলেন, এটা হয়েছে মার্চ ফর অটোক্রেসি। নিজেদের আন্দোলনের ব্যর্থতা ঢাকতেই বিরোধী দলের নেতা এ কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

‘কেউ বের হতে চাইলে তাকে কি আটকে রাখা যায়’– যোগ করেন চিফ হুইপ।

তিনি আরো বলেন, এর আগে তারা বলেছিলেন এই সরকার ২৫ অক্টোবর থেকে অবৈধ; এরপর বললেন ২৭ অক্টোবর থেকে। কিন্তু আবার তারাই তাদের নেতাকে বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। এটা স্ববিরোধী হয়ে গেলো।

(দ্য রিপোর্ট/আরএইচ/এমডি/এএল/জানুয়ারি ০৪, ২০১৪)