thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বস্তুত রাজনৈতিক আন্দোলন’

২০১৬ ফেব্রুয়ারি ২৮ ১৯:০৯:০৪
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বস্তুত রাজনৈতিক আন্দোলন’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অমর একুশে গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ডিজিটাল মুক্তিযুদ্ধের কৌশল’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাতীয় সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামসুন্দর সিকদার, ড. মাহবুবুল হক ও তারিক সুজাত। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

প্রাবন্ধিক বলেন, ‘সার্বিক বিবেচনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ কেবলমাত্র প্রযুক্তির প্রয়োগ নয়, এটি বস্তুত একটি রাজনৈতিক আন্দোলন। এর মূল লক্ষ্য একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ। ধর্মভিত্তিক জঙ্গি রাষ্ট্র গড়ে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়া যায় না। বরং ডিজিটাল বাংলাদেশ আন্দোলনটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রবহমান ধারারই অংশ। এই ধারার দুই প্রান্তে যে দুই ধারার মানুষ অবস্থান করছে তার একটি সমীকরণ করা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘খুব স্পষ্ট করে একটি বলা দরকার যে, এই রেখার একদিকে রয়েছে একাত্তরের পরাজিত শক্তি এবং অন্যদিকে রয়েছে একাত্তরের বিজয়ীরা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে লড়াইয়ের এই মাত্রাটি জনগণের মাঝে তেমনভাবে স্পষ্ট করা সম্ভব হয়নি। বস্তুত অব্যাহত প্রযুক্তিক ও সামাজিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালের মাঝেই আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হবে।’

আলোচকবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইতোমধ্যে আমরা তার ফল ভোগ করছি। দেশের কেন্দ্র থেকে প্রান্ত পর্যন্ত সব শ্রেণির মানুষের কাছে তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে নানা কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। এসবের মধ্য দিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে ডিজিটাল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশা করি।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমরা যে বিপুল অগ্রগতি অর্জন করেছি তা সমগ্র বিশ্বেই দৃষ্টান্তস্থানীয়।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন লোপা খানের পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন ‘আবৃত্তিশীলন’ এবং শেখ উজ্জ্বলের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বাঙালি ফাউন্ডেশন’-এর শিল্পীবৃন্দ। সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী অদিতি মহসিন, বুলবুল ইসলাম, ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, লাইসা আহমেদ লিসা, মকবুল হোসেন, শারমিন সাথী ইসলাম, ছায়া রাণী কর্মকার, জান্নাত এ ফেরদৌসী, সেমন্তী মঞ্জরী এবং সুমা রাণী রায়। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন এনামুল হক ওমর (তবলা), গাজী আবদুল হাকিম (বাঁশি), আবু কামাল (বেহালা), দীপঙ্কর রায় (প্যাড) এবং সুনীল কুমার সরকার (কী-বোর্ড)।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এপি/সা/ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর