thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল 24, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ২০ শাওয়াল 1445

’খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনে ভয় ও আত্মসমর্পণের নজির নেই’

২০১৭ মে ২১ ১৮:৫৬:২২
’খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনে ভয় ও আত্মসমর্পণের নজির নেই’

খুলনা ব্যুরো : বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, `সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী ও দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে তল্লাশি চালানোর নামে তাকে অসম্মান করে, দলীয় নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার-হয়রানি ও ক্রসফায়ারের নামে নির্বিচারে হত্যা করে সরকার বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে চায়। কিন্ত জনসমর্থনহীন অনির্বাচিত অবৈধ এই সরকারের মনে রাখা উচিৎ, খালেদা জিয়ার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে ভয় ও আত্মসমর্পণের কোন নজির নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা দমন-পীড়ন নির্যাতনকে ভয় পায়না। যারা অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চান, তাদের মনে রাখতে হবে, আগামীতে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন ছাড়া কোন ভোট এ দেশে হতে দেয়া হবেনা।’

ঢাকার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পুলিশী তল্লাশির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার (২১ মে) দুপুরে খুলনা মহানগর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের প্রসঙ্গ উল্লেখ এসময় কর্মীদের উদ্দেশ্যে করে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসবে। আমাদেরকে আন্দোলন ও নির্বাচন টার্গেট করে প্রতিটি পাড়ায় মহল্লায় কমিটি গঠন করতে হবে। সেখানে পেশাজীবীরা বিশেষ গুরুত্ব পাবেন।’

নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালনে পুলিশী বাঁধার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘আপনাদের মনে রাখতে হবে এ সরকার শেষ সরকার নয়। চোখ রাঙ্গিয়ে, ভয় দেখিয়ে, গণগ্রেফতার চালিয়ে, বাড়ি-বাড়ি তল্লাশির নামে তাণ্ডব চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দমন করা যাবেনা।’

যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শত শত মামলা, হাজার হাজার আসামী। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় রাজনৈতিক কর্মীদেরকে প্রশাসনের যেসব কর্মচারী হয়রানি করেছেন, এ সরকারের বিদায়ের পর তাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।’

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেসিসির মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, শেখ খায়রুজ্জামান খোকা, সিরাজুল ইসলাম, শাহজালাল বাবলু, শেখ ইকবাল হোসেন, স ম আব্দুর রহমান, ফখরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মাহবুব কায়সার, শেখ হাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান দীপু, আজিজুল হাসান দুলু, ইকবাল হোসেন খোকন, মো. শাহজাহান, সাদিকুর রহমান সবুজ, জালু মিয়া, গিয়াসউদ্দিন বনি, এহতেশামুল হক শাওন, শেখ সাদী, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, কে এম হুমায়ুন কবির, একরামুল কবির মিল্টন, একরামুল হক হেলাল, হাসানুর রশিদ মিরাজ, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, হাসান মেহেদী রিজভী, শামসুজ্জামান চঞ্চল, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, মুজিবর রহমান ফয়েজ, কামাল হোসেন, মীর কবির হোসেন, তরিকুল্লাহ খান, বদরুল আনাম, আফসার মাস্টার, হাবিব বিশ্বাস, শরীফুল আনাম, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, আফজাল হোসেন পিয়াস, আনসার চৌধুরী, মো. জামালউদ্দিন, তরিকুল ইসলাম, শেখ ফারুক হোসেন, মেজবাহউদ্দিন মিজু, রবিউল ইসলাম রবি, মহিউদ্দিন টারজান, এইচএম আসলাম, ইমতিয়াজ আলম বাবু, ওয়াহিদুর রহমান দীপু, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আরিফ খান, ওমর ফারুক, নাসির খান, আব্দুল আলিম, তৌহিদুল ইসলাম খোকন, কাজী শাহনেওয়াজ নীরু, ফারুক হিল্টন, স ম আব্দুর রহমান, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, জাহিদুর রহমান রিপন, কাজী নেহিমুল হাসান নেহিম, জি এম রফিকুল হাসান, মোস্তফা কামাল, আলমগীর হোসেন, মাহমদু আলম বাবু মোড়ল, মিজানুর রহমান খোকন, শেখ শওকত আলী, রবিউল ইসলাম রুবেল, মোহাম্মদ আলী, ময়েজউদ্দিন চুন্নু, মোল্লা ফিরোজ আহমেদ, কাজী নজরুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, হেদায়েত হোসেন হেদু, লিটন খান প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এজে/মে ২১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর