thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল 24, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ২০ শাওয়াল 1445

সুবর্ণচরের ধর্ষণ ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে’,

২০১৯ জানুয়ারি ১৩ ১৯:১৫:১৫
সুবর্ণচরের ধর্ষণ ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে’,

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সুবর্ণচরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীকে গুরুতর আঘাত এবং ধর্ষণ করার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেলেও নির্বাচনের সঙ্গে এই ঘটনার সম্পর্ক খুঁজে পায়নি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত দল।

বরং ওই নারীর স্বামীর দায়ের করা এজাহারের ভাষ্যমতে, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে’ এই বাক্যটি প্রতিবেদনের মতামত অংশে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কী সেই পূর্ব শত্রুতা তা স্পষ্ট নয় কমিশনের কাছে। কমিশন চেয়ারম্যান বলেছেন, এজাহারে বা সাক্ষ্যতে কেউ নির্বাচনের বিষয়টি বলেনি। তারা (ধর্ষণের শিকার নারী ও তার স্বামী) যে কথা বলেছে, সেই কথার ওপর ভিত্তি করেই তদন্ত প্রতিবেদনটা দেওয়া হয়েছে।

মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘মামলার এজাহারে ওই নারী ধানের শীষের নেতা-কর্মী-সমর্থক হওয়া, তার ধানের শীষে ভোট দেওয়া, আসামিরা নৌকা প্রতীকের নেতা-কর্মী-সমর্থক ও পোলিং এজেন্ট হওয়া, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনি বিরোধের জের ধরে মারধর বা ধর্ষণের শিকার হওয়া, তা উল্লেখ নেই। বরং এজাহারে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, আসামিরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারধর ও ধর্ষণ করে। এছাড়া, ওই নারী তদন্ত কমিটির সামনে দেওয়া জবানবন্দির কোথাও বলেননি যে, তিনি ধানের শীষে ভোট দিয়েছেন। তার স্বামীও এসব কথা বলেননি।’ স্বামী-স্ত্রীর জবানবন্দি থেকেই প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেওয়া বা ভোট দেওয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বা আসামিরা আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়া বা আওয়ামী লীগের কোনও কর্মীর মাধ্যমে ওই নারীকে মারপিট ও ধর্ষণের শিকার হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায় না।’

৮ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন নিজেদের ওয়েবসাইটে দিয়েছে কমিশন। সেখানে লেখা আছে—জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদন বলছে, সুবর্ণচরে ধর্ষণের শিকার নারীকে গুরুতর আঘাত করা এবং তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে এর সংশ্লিষ্টতা তদন্তকালে তদন্ত কমিটি খুঁজে পায়নি। বরং ওই নারীর স্বামীর দায়ের করা এজাহারের ভাষ্যমতে, পূর্ব শত্রুতার জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে।

পূর্ব শত্রুতা বলতে কী বুঝাতে চেয়েছেন প্রশ্ন করা হলে তথ্যনুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জের বিষয়ে প্রতিবেশীর কথা এসেছে, প্রপার্টি নিয়ে হতে পারে, কথাকাটাকাটি নিয়ে হতে পারে।’ এ বিষয়ে কমিটি জানতে চেষ্টা করেছিল কিনা, প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ওটা এজাহারের মধ্যে এজাহারকারী নিজেই বলেছে।’ আপনারা তদন্ত করতে গিয়ে জানতে চেষ্টা করেছিলেন কিনা, জানতে চাইলে মাহমুদ ফায়জুল কবীর আরও বলেন, ‘আমরা কিছু কিছু শুনেছি, রিপোর্টে কিছু কিছু বলেছি, আমাদের চেয়ারম্যানকেও বলেছি। আপনারা তার কাছ থেকে শুনুন।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জানুয়ারি ১৩, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর