thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর ভারত বলল, এটা অভ্যন্তরীণ বিষয়

২০১৯ আগস্ট ১৬ ২৩:৪৪:১৪
কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর ভারত বলল, এটা অভ্যন্তরীণ বিষয়

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল নিয়ে অবস্থান যা ছিল সেটাই থাকবে, এটি পুরোপুরিই অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জাতিসংঘকে জানিয়ে দিয়েছে ভারত।

শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ডাকা এক রুদ্ধদার বৈঠকের দেশটির পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য করা হয়।

চীনের সমর্থনে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে রুদ্ধদ্বার আলোচনার আবেদনের পরেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকা হয়।

এ বৈঠকের পর প্রতিক্রিয়া ভারতের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দপ্তরে ভারতের স্থায়ী দূত সৈয়দ আকবর উদ্দিন বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ধীরে ধীরে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বদ্ধপরিকর ভারত সরকার এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার পদক্ষেপ করছে সরকার।

তিনি বলেন, “অন্য কোনও বিষয় নেই, ভারত সরকারের নেওয়া সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত এবং আমাদের আইনসভা সুনিশ্চিত করতে চায়, যাতে ভাল পরিষেবা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়া যায় জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের বাসিন্দাদের”।

পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে আকবর উদ্দিন বলেন, তারা চেষ্টা করছে, সতর্কতামূলক পরিস্থিতি তুলে ধরতে, যা প্রকৃত সত্য থেকে বহুদূরে।

তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট উদ্বেগ হল, জিহাদ শব্দটি ব্যবহার করছে একটি রাষ্ট্র এবং তাদের নেতাসহ ভারতে সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে”।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকটি আনুষ্ঠানিক না হওয়ায় তার ফলাফলের কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে না। বৈঠকে হাজির হয়নি ভারত ও পাকিস্তান, এই বৈঠকে যোগ দিতে পারে পাঁচটি স্থায়ী এবং ১০টি অস্থায়ী সদস্য।

জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান, উভয়েরই একতরফা পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকা উচিত বলে মনে করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন বলেন, কাশ্মীরের পরিস্থিতি এমনিতেই খুবই উত্তেজনাপূর্ণ এবং বিপজ্জনক”।

পাকিস্তানের খুবই ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীন।

গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্র সরকার। রাজ্যটিকে ভেঙে দিয়ে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার ঘোষণা দেয়া হয় সেসময়।

তার আগের দিন ৪ আগস্ট থেকে সেখানে বড় ধরনের জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ একাধিক কঠোর নিয়ম জারি করা হয় এবং নিরাপত্তার বলয়ে ঘিরে ফেলা হয়।

যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ার ফলে কাশ্মীর উপত্যকায় ফোন এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। তৈরি হয় কারফিউ জারি করার মতো পরিস্থিতি।

এরমধ্যেই কাশ্মীরের প্রায় ৪০০ জন রাজনৈতিক নেতাকে আটক করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতিকেও গ্রেপ্তার করা হয়।


(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/আগস্ট ১৬,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর