thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

ব্রেক্সিট ইস্যুতে ধরাশায়ী জনসন, আগাম নির্বাচনের ঘোষণা

২০১৯ সেপ্টেম্বর ০৪ ১০:৪৪:৫১
ব্রেক্সিট ইস্যুতে ধরাশায়ী জনসন, আগাম নির্বাচনের ঘোষণা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: চুক্তিহীন ব্রেক্সিট আটকাতে আইন পাস করার প্রথম ধাপে জয় পেয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরোধীরা। এই ভোটে হেরে দেশটিতে আগাম সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন বরিস।

৩২৮ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন ব্রেক্সিট বিরোধী এমপিরা। বরিসের পক্ষে গেছে ৩০১টি। তার মানে ব্রেক্সিট পিছিয়ে দিতে তারা পার্লামেন্টে বিল উত্থাপন করতে পারবেন। বরিসের দল অর্থাৎ টোরি পার্টির ২১ জন এমপি তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যুক্তরাজ্যকে ইইউ থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। অথচ ব্রেক্সিট নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের হাতে কোনো পথরেখা নেই। ওদিকে বিরোধী দলের সঙ্গে মিলে বিদ্রোহী টোরি এমপিরা প্রধানমন্ত্রীর চুক্তিহীন ব্রেক্সিট আটকাতে চেষ্টা করছেন।

এই ভোটে হারার পর বরিস জানিয়েছেন, কোনো বিলের অনুমতি না দিয়ে তিনি আগাম সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবেন।

ব্রিটেনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কোনো সরকার একা নিতে পারে না। ইস্যুটি নিয়ে মতভেদ দেখা দিলে সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে ‘কি’ বা ‘ক্রাঞ্চ’ ভোট হয়। সেখানে তিনি হারলে পদত্যাগ বা সরে যেতে বাধ্য করা হয়। ব্রেক্সিট ইস্যুতে বরিস এমনই একটি ভোটে হারলেন।

বরিস হারতে যাচ্ছেন সেটি বোঝা যায় মঙ্গলবার বিকেলের অধিবেশনে। তার শুভেচ্ছা বক্তব্যের সময় টোরি এমপি ফিলিপ লি লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের বেঞ্চে যোগ দেন। তখনই তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান।

বিরোধীরা বলছেন, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট না আটকালে তারা সাধারণ নির্বাচনে যাবেন না। ওই নির্বাচনের আগেই তারা চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিপক্ষে আইন চান।

‘ব্রিটেন এক্সিট’কে সংক্ষেপে বলা হয় ব্রেক্সিট। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া এটি। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি দেশ একে অন্যের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারে, নাগরিকেরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে পারে এবং সেখানে বসবাস করতে পারে।

প্রায় ৪০ বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকার পর ২০১৬ সালের জুনে একটি গণভোট আয়োজন করে যুক্তরাজ্য। অধিকাংশ ভোটার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে ভোট দেন।

এই ভোটের পর সেখানকার রাজনীতি রীতিমতো এলোমেলো হয়ে গেছে। সরকারি-বিরোধী দলের অনেকেই ব্রেক্সিটের বিপক্ষে। পক্ষে থাকার কারণে ক্ষমতা হারাতে হয়েছে থেরেসা মেকে। নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিসও থেরেসার মতো ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়তে অনড়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/সেপ্টেম্বর ০৪ ,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর