আবরার হত্যা: মাদক দিয়ে ‘গণপিটুনির নাটক’ সাজাতে চেয়েছিল ছাত্রলীগ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার পর তার কক্ষে মাদক রেখে ‘গণপিটুনির নাটক’ সাজাতে চেয়েছিল বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী। এমনকি এই নাটক সাজানোর জন্য রাতে পুলিশ ডেকেও তাদের গাড়ি হল চত্বরে ঢুকতে দেয়নি ছাত্রলীগ। তবে আবরারের সহপাঠীদের পাহারা এবং পরবর্তীতে শিক্ষকদের তৎপরতার কারণে তাদের সেই অপচেষ্টা সফল হয়নি। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বুয়েটের শেরেবাংলা হলের শিক্ষার্থী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
যেভাবে ডেকে নেওয়া হয় আবরারকে
৬ অক্টোবর রাত ৮ টা। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন বুয়েটের ১৭ তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ। এসময় ছাত্রলীগ কর্মী ও মেক্যানিক্যাল বিভাগের একই ব্যাচের শিক্ষার্থী মুনতাসির আল জেমি এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এহতেশামুল রাব্বি তানিম ওই কক্ষে আসে। তারা এসে আবরার ফাহাদকে খুঁজতে থাকে। এসময় কক্ষে আবরারের বন্ধু ও রুমমেট অন্তিম পড়ছিলেন। আবরারকে তারা ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। ঘুম থেকে উঠে আবরার বিছানায় বসে। আবরারের পরনে ছিল কালো ট্রাউজার ও নিজের বিভাগের পিকনিকের সময়ে দেওয়া কালো টি-শার্ট। আবরার ঘুম থেকে উঠলে জেমি তাকে বলে, ‘ভাইরা তোকে ২০১১ নম্বর রুমে ডাকে। তোর মোবাইল ও ল্যাপটপ নিয়ে চল্।’ এসময় কক্ষের সামনে ছিল ১৭ তম ব্যাচের মুয়াজ, সাইফুলসহ আরও ৫/৬ জন। আবরারকে নিয়ে তারা সবাই ২০১১ নম্বর কক্ষে যায়। আবরারকে কক্ষ থেকে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর তার অপর দুই রুমমেট ১৬তম ব্যাচের মিজান ও ১৭ তম ব্যাচের রাফি রুমে আসে। তাদের রুমে রেখে অন্তিম পলাশীতে কফি খেতে চলে যান।
অন্তিম বলেন, ‘আবরারের সঙ্গে আমার ওটাই শেষ দেখা ছিল। আমাদের পরীক্ষা থাকায় রাত জেগে পড়তে হয়। তাই সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে আবরার রাতে পড়তে চেয়েছিল। আমাকে ঘুমানোর আগে বলেছিল, ‘৯ টার দিকে আমাকে ঘুম থেকে তুলে দিস।’ এটাই আবরারের সঙ্গে আমার শেষ কথা।
আবরারকে নির্যাতনের পর রুম থেকে তার আরেক সেট পোশাক নিয়ে যায় ছাত্রলীগকর্মী জেমি
আবরারকে একদফা মারধরের পর রাত ১০ টার দিকে তার রুমে (কক্ষে) জামা কাপড় নিতে এসেছিল ছাত্রলীগ কর্মী ও মেক্যানিক্যাল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুনতাসির আল জেমি। অন্তিম পলাশী থেকে কফি খেয়ে এসে দেখেন কক্ষটি তালা দেওয়া। অপর দুই রুমমেট রাফি ও মিজান ওইসময় কক্ষে ছিলেন না। তিনি চাবি নিয়ে বের না হওয়ায় অন্য দুজনের জন্য পাশের ২০১০ নম্বর কক্ষে বসে অপেক্ষা করেন। এর কিছুক্ষণ পর মিজান ও রাফি কক্ষে এলে তারা তিনজন কক্ষে প্রবেশ করেন। এর কিছুক্ষণ পর ১০টার দিকে ফের জেমি ওই কক্ষে এসে আবরারের জামা কাপড় চায়। তারা বুঝতে পারেন, আবরার র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন। একই ব্যাচের হলেও জেমি ছাত্রলীগ নেতা, সে আবরারের পরিধেয় গ্রামীণ চেকের একটি শার্ট ও একটি ট্রাউজার নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আবরারের লাশের গায়ে গ্রামীণ চেকের সেই শার্টটি দেখা যায়। সেটিও ছেঁড়া ছিল। জেমি যখন জামা কাপড় নিতে আসে, তখন তার রুমমেটরা আবরারের খবর জানতে চায়। জেমি তাদের জানায়, ‘আবরার ঠিক আছে।’
আবরারের রুমমেট অন্তিম বলেন, ‘‘এভাবে অনেককেই তারা বিভিন্ন সময়ে ডেকে নিয়ে ‘টর্চার’ করে ছেড়ে দিতো। খারাপ লাগলেও সাধারণ ছাত্রদের কিছুই করার ছিল না। আমরা ভাবছি, হয়তো এখন আবরারকে ছেড়ে দেবে। তাকে হয়তো রেস্টে থাকতে দিয়েছে। আমি যখন খেতে যাই তখন একবার তানিমকে নিচে দেখি। তাকে অস্থির দেখাচ্ছিল। তাছাড়া জেমি আমাদের সহপাঠী, সে আবরারকে মেরে ফেলবে, এটা বুঝতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আমি, মিজান ভাই (১৬ তম ব্যাচ), রাফি যখন রুমে আসি তখন আমাদের রুমে ব্যাচমেট ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাইফুল আসে। তার মুখ শুকনা দেখায়। আমি তাকে জিজ্ঞাস করলাম আবরারের কী অবস্থা? সে বললো ঠিক আছে। আমরা তাই আর কিছু সন্দেহ করিনি।’
হত্যাকাণ্ডকে মাদক দিয়ে গণপিটুনির নাটক সাজাতে চেয়েছিল ছাত্রলীগ
আবরারের মোবাইল ও ল্যাপটপে শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু না পাওয়ার পর তার কক্ষে মাদক রেখে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বুয়েট ছাত্রলীগের এসব নেতা-কর্মী। তবে সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী বিষয়টি আবরারের কক্ষের অন্য সহপাঠীদের জানিয়ে দেয়। বিষয়টি জেনে ওই নেতাদের চাতুরি ঠেকাতে ১০১১ নম্বর কক্ষটির দরজা জানালা সব বন্ধ করে দেয় শিক্ষার্থীরা।
ওই কক্ষের পাশের একটি কক্ষের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘তারা (ছাত্রলীগ) চেয়েছিল ১০১১ কক্ষে মাদক রাখবে। আমরা পরে কক্ষটি পাহারা দেই। সবাই ঘুম থেকে ওঠার পর ছাত্রলীগ ধীরে ধীরে গা ঢাকা দেয়। তারপরও আবরারের কক্ষ আমরা পাহারা দেই।’
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন বলেন, ‘‘আমাদের (পুলিশকে) খবর দিয়েও পরবর্তীতে তারা আর হলে ঢুকতে দেয়নি। তারা বলছিল, ‘শিবির ধরা পড়েছে, তাকে নিয়ে যান।’ কিন্তু, থানা পুলিশ গেলে তাদের হলে ঢুকতে দেয়নি। তারা লাশ অনেকক্ষণ আটকে রেখেছিল। পরে শিক্ষকরা আসার পর আমরা লাশ ঢামেক হাসপাতালে পাঠাতে সক্ষম হই।’
শেরেবাংলা হলে আবরারের লাশের পাশে রাতে যাদের দেখা গেছে
রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে তিতুমীর হলে খেতে যান অন্তিম। ৩টার দিকে হলের গেটে প্রবেশ করেই দেখতে পান স্ট্রেচারে আবরারের নিথর দেহ। সারা শরীরে দাগ। লাশের পাশে তার রুমমেট মিজান ও রাফি কান্না করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্ট্রেচারে থাকা আবরারের লাশের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, মুয়াজ, মেকানিক্যাল ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন। এছাড়াও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গেটে পাহারা বসায় যাতে হলের কেউ বের হয়ে প্রতিবাদ না করতে পারে। অপরদিকে, হল কর্তৃপক্ষের মধ্যে বুয়েটের ডাক্তার মাসুক এলাহী, প্রভোস্ট ড. জাফর ইকবাল, সহকারী প্রভোস্ট শাহিনুর রহমান, সহকারী প্রভোস্ট ড. ইফতেখার ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. মিজানুর রহমান স্ট্রেচারের পাশে ছিলেন।
সেখানে উপস্থিত একাধিক শিক্ষার্থী ওই সময়ে বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (পরে স্থায়ী বহিষ্কৃত) মেহেদী হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বর্ণনা দিয়েছেন। স্ট্রেচারে আবরারের নিথর দেহ পড়ে থাকা অবস্থায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ডাক্তার মাসুক এলাহীকে বলেন, ‘ওকে (আবরার) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই।’ ডাক্তার তার জবাবে বলেন, ‘ও, ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে মারা গেছে। ওকে হাসপাতালে পাঠিয়ে কী হবে?’
এদিকে, আবরারকে হত্যার খবর শেরেবাংলা হলের অন্য শিক্ষার্থীরা মুখে মুখে জানতে পারলেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন গেটে পাহারা বসানোর কারণে ঘটনাস্থল ‘হাজার ব্লকে’ আসতে পারছিল না। প্রসঙ্গত ওই হলে দুটি ব্লক। শতকের ঘরের ব্লকটিকে ‘‘শ’ ব্লক বা শতক ব্লক’’ এবং হাজারের ঘরের কক্ষগুলোকে ‘হাজার ব্লক’ হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
জানা গেছে, ১৭তম ব্যাচের যারা হাজার ব্লকে ছিলেন তারাই কেবল আবরারের নিথর দেহ দেখতে পান। সেখানে উপস্থিত শিক্ষকরাও তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে সরাসরি কোনও কথা বলছিলেন না। তবে একাধিক শিক্ষক আকার ইঙ্গিতে আবরারের শরীরে নির্যাতনের চিহ্নগুলোর দিকে ইঙ্গিত করছিলেন। ওই সময় ঘটনাস্থলে থাকা হলের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘‘এরপর হাজার ব্লকের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। রুমে রুমে গিয়ে তারা সবাইকে সজাগ করে। তবে তারপরও সবাই ছাত্রলীগের ভয়ে নিহত আবরারের পাশে আসছিলেন না। তারা যখন রুমে রুমে যাচ্ছিলেন তখন ছাত্রলীগের নেতারা তাদের নজরদারি করে। ছাত্রলীগকর্মী মুয়াজ ও তোয়া এসময় তাদের (সাধারণ শিক্ষার্থীদের) বলে, ‘আমাদের নাম প্রভোস্টকে বলবি না। আমরা নিরাপরাধ। কারো নাম বলবি না।’’
হাজার ব্লকের শিক্ষার্থীদের সবাইকে খবর দেওয়ার পর শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে আবরারের ১০১১ নম্বর কক্ষে যান। সেখানে গিয়ে ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তারা। দরজা বন্ধ করে দায়িত্বরত শিক্ষকরা যখন ১৭তম ব্যাচের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন দরজা ধাক্কা দিয়ে জোর করে সেখানে বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল প্রবেশ করেন। প্রভোস্ট জাফর ইকবাল তাকে বের হতে বললে সে বলে, ‘আমরা কি এখানে থাকতে পারি না?’ সে তর্ক জুড়ে দেয়। এরপর জোর করে সেখানে থাকে সে। ফলে বাধ্য হয়ে সব শিক্ষার্থী বের হয়ে যায়।
আবরারের লাশ পড়ে ছিল সিঁড়িতে একটি তোষকের ওপর
আবরারের লাশ যখন সিঁড়িতে পড়েছিল সেটি প্রথম দেখেছিলেন আহনাব নামে ১৭ তম ব্যাচের মেকানিক্যাল বিভাগের এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘আমি অনেক রাত পর্যন্ত পড়ছিলাম। রাত ২ টার দিকে আমি পানি আনার জন্য বোতল নিয়ে বের হই। সিঁড়ি দিয়ে নামতেই দেখি দোতলা ও নিচতলার সিঁড়ির মাঝামাঝি জায়গায় তোষকের ওপর আবরারের নিথর দেহ পড়ে আছে। আমি দ্রুত রুমে চলে যাই। আমি ট্রমাটাইজ হয়ে যাই। বুঝতে পারছিলাম না কী করবো। এরপর আবার আসি। তখন দেখি কেউ তাকে স্ট্রেচারে তুলে রেখেছে।’
আবরারের ভাইকে প্রথম ফোন দিয়ে জানানো হয়
আবরারের মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে। তাই মৃত্যুর পরও তার পরিবারকে সহপাঠীদের কেউ ফোন দিতে পারছিল না। আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজকে পড়াতো দিগন্ত নামে বুয়েটের এক শিক্ষার্থী। তার কাছ থেকে নম্বর নিয়ে ফাইয়াজকে ফোন দেওয়া হয়। ফাইয়াজ কয়েকবার রিং হওয়ার পর ফোন রিসিভ করে। এভাবে তার আত্মীয়-স্বজন জানতে পারে।
একযোগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে হত্যাকাণ্ডের কথা জানান দেয় ১৭তম ব্যাচ
আবরার হত্যার পর শেরেবাংলা হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে কেউ কাউকে খবর দিতে পারছিল না। ভয়ের কারণ, যদি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেখে ফেলে। এজন্য ১৭তম ব্যাচের কয়েকজন একত্রিত হয়ে একটি মেসেজ লেখেন। একই সময় সেই টেক্সটটি বুয়েটের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ সব ক’টি পেজ ও গ্রুপে তারা পোস্ট করেন। এরপর সবাই ধীরে ধীরে ঘটনাটি জানতে পারে।
শিক্ষকরাও ছিলেন আতঙ্কিত
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ‘আবরারকে হত্যা করে যখন তার লাশ ফেলে রাখা হয়েছিল, সেই খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন প্রভোস্ট ড. জাফর ইকবাল, সহকারী প্রভোস্ট শাহিনুর রহমান, চিকিৎসক ডাক্তার মাসুক এলাহী এবং ছাত্র কল্যাণ পরিচালক মিজানুর রহমান। তাদের ঘিরে রেখেছিল খুনের সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা শিক্ষকদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিল এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। তখন সেখানে উপস্থিত একজন শিক্ষক বলেন, ‘কোনটা স্বাভাবিক ও কোনটা অস্বাভাবিক মৃত্যু সেটা আমরা বুঝি।’ তবে ছাত্রলীগের এসব নেতাদের অতীত কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত থাকায় আর কোনও বিষয়ে কাউকে কোনও জেরা করেননি শিক্ষকরা । বরং তারাও আতঙ্কিত ছিলেন। ঘটনার কারণও কারও কাছ থেকে জানতে চাননি শিক্ষকরা। এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্যাররা, ছাত্রলীগের এসব নেতার আচরণের কারণে আর কথা বলেননি। কারণ, ওরা সবাই ড্রাংক ছিল।’
পুলিশ এসেছিল ‘শিবিরকর্মী’ আটক করতে
আবরার যখন মুমূর্ষু অবস্থায় তখন তাকে প্রথমে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে পুলিশের হাতে তুলে দিতে চায় ছাত্রলীগের এসব নেতা। এজন্য ওইসময় ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রলীগের এক নেতা চকবাজার থানার ডিউটি অফিসারের নম্বরে খবর দিয়ে বলে, ‘এক শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়েছে, তাকে নিয়ে যান।’ খবর পেয়ে চকবাজার থানা থেকে টহল পুলিশের একটি দলকে শেরেবাংলা হলে পাঠানো হয়। এই হলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘পুলিশের একটি গাড়ি আসে। তারা শিবিরকর্মী কোথায় জানতে চান। তবে ছাত্রলীগ তাদের পরে আর হলে ঢুকতে দেয়নি।’
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে আমাদের ডিউটি অফিসারকে ফোন দিয়ে শিবির ধরা হয়েছে বলে ফোন দেয়। তবে আমাদের টহল পুলিশকে তারা হলে ঢুকতে দেয়নি।’
পুলিশের বক্তব্য
ডিএমডির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন জানান, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে আসামিরা গ্রেফতার হয়েছে। দ্রুত এই মামলার তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ০৯,২০১৯)
পাঠকের মতামত:
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৬৬ ফিলিস্তিনি নিহত
- রাশিয়ার হামলা ইউক্রেনকে পেছেনে ঠেলে দিচ্ছে: সেনাপ্রধান
- দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে
- হিট অফিসারের পরামর্শে রিকশাচালকদের আধা লিটার পানি দিচ্ছে ডিএনসিসি
- ঋণের পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশের পরামর্শ আইএমএফের
- ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- টিপু-প্রীতি হত্যার ঘটনায় আ.লীগের নেতাসহ ৩৩ জনের বিচার শুরু
- "ভোটার ছাড়া ভোট, চুন ছাড়া পান খাওয়ার মতো"
- বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনকে উৎসব মনে করেন: ইসি আলমগীর
- থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
- ১৯ বছর পরে ফিরছে ব্ল্যাক
- ইসরাইলকে থামাতে পারে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র: মাহমুদ আব্বাস
- মুস্তাফিজের দুই উইকেট, জয় চেন্নাইয়ের
- দিনাজপুরে প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা, নিহত ১
- সারা দেশে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে
- এপ্রিলে কমেছে প্রবাসী আয়
- রাজধানীতে রাত ১১টার পর চায়ের দোকান বন্ধের নির্দেশ ডিএমপির
- সারাদেশে হিট স্ট্রোকে ১২ জনের মৃত্যু
- চলতি বছর বিশ্বে ৪০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যেতে পারে
- আজ দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী
- চীনে টর্নেডোর তাণ্ডবে পাঁচজন নিহত
- সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ
- আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা মঙ্গলবার
- পশু আমদানি করার কোনো পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- "সব সময় চাই বিচার বহির্ভূত কোনো হত্যাকাণ্ড না ঘটুক"
- লুটপাট লুকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদেরকে নিষেধাজ্ঞা: রিজভী
- "তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি থাকলে স্থানীয়ভাবে স্কুল বন্ধ"
- দ্বিতীয় মেয়াদে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত
- ড্রয়ে শিরোপা অপেক্ষা বাড়লো পিএসজির
- মালয়েশিয়ায় ১৩২ জন বাংলাদেশিসহ ২০৬ জন গ্রেপ্তার
- ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
- পশ্চিমবঙ্গের এক এলাকায় তাপমাত্রা উঠলো ৪৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
- ৮টি জেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট চলছে
- মে দিবসে সমাবেশ করবে বিএনপি
- নতুন গন্তব্যে এমভি আবদুল্লাহ
- আগামী সপ্তাহ থেকে দুই বেঞ্চে বিচার কাজ করবে আপিল বিভাগ
- আরো ৭২ ঘন্টার হিট এলার্ট জারি
- "জাতীয় পার্টি কোন চাপে নির্বাচনে এসেছে তা দলটিকে পরিষ্কার করতে হবে"
- তাপপ্রবাহের সড়কে কৃত্তিম বৃষ্টি
- আবারও সোনার দাম কমলো
- প্রচারে সরকারি সুবিধা পেলে প্রার্থিতা বাতিল: ইসি রাশেদা
- "ঢাকার ১০ থানা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি"
- ফের সারাদেশে হিট এলার্ট জারি
- বিনিয়োগকারী সংগঠনের নামে শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন চাঁদাবাজী,ধরা পড়লো তিনজন
- মার্কিন নির্বাচনে চীন হস্তক্ষেপ করতে চাইছে: ব্লিঙ্কেন
- বাংলাদেশ- ভারত সিরিজ নিয়ে বিসিবির সুখবর
- রোহিত- কোহলির অবসর নিয়ে যা বললেন যুবরাজ
- পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকার বেশি
- তীব্র তাপদাহে এশিয়ার কোন দেশের কী অবস্থা!
- তীব্র তাপদাহে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন নির্দেশনা
- যুক্তরাষ্ট্র গেলেন বিএনপি নেতা আমির খসরু
- "শেরে বাংলার মমত্ববোধ, ভালোবাসা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে"
- বৃষ্টি নিয়ে যে সুখবর দিলো আবাহাওয়া অফিস
- "পরিষ্কার ধারণা ছিলো, বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না"
- ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে: ওবায়দুল কাদের
- ওলামা দলের ৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা
- বিতর্কিত ক্যাচের ছবি দিয়ে যা বোঝালেন মুশফিক
- এসির টেম্পারেচার কত হলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
- জিম্মিকে ফিরিয়ে নিতে ১৮ দেশের বিবৃতি, যে বার্তা দিল হামাস
- দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির, মাছের বাজার চড়া
- ওমরা পালনে ইচ্ছুক মুসল্লিদের জন্য সৌদি আরবের সুখবর
- আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের তাপদাহের খবর
- কী করছেন হিট অফিসার
- তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে, মে মাসের শুরুতে হতে পারে বৃষ্টি
- থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
- গরমের স্বস্তিতে মিনিস্টার এসি
- ছয় হাজার টন মসুর ডাল কিনবে সরকার
- বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রথম শ্রেণির ৫৭ কর্মকর্তার পদত্যাগ
- যুক্তরাষ্ট্রের টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আনা বিল অনুমোদন
- ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
- বৃষ্টির সম্ভ্যব্য সময় জানাল আবহাওয়া অফিস
- বেনজীরের নগদ অর্থের তথ্য চেয়েছে দুদক
- "উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন হতে পারে"
- ছুটি আরও বাড়বে কি না, জানা যাবে শনিবার
- "বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে"
- পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকার বেশি
- মার্কিন নির্বাচনে চীন হস্তক্ষেপ করতে চাইছে: ব্লিঙ্কেন
- হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
- ঢাকা থেকে প্রধান ১৫ টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়লো
- দায় এড়াতে পারেন না কারিগরি সাবেক চেয়ারম্যান: ডিবি হারুন
- ভোরের কাগজ পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আতিক আর নেই
- পদ্মা নদীতে তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
- কমেছে স্বর্ণের দাম
- ফের সারাদেশে হিট এলার্ট জারি
- যুক্তরাষ্ট্রের টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আনা বিল অনুমোদন
- যুক্তরাষ্ট্র গেলেন বিএনপি নেতা আমির খসরু
- দুই সেঞ্চুরির ম্যাচে হারের খলনায়ক মুস্তাফিজ
- সূচকের পতনে লেনদেন শেষ
- তাপপ্রবাহে বাংলাদেশের শিশুরা উচ্চ ঝুঁকিতে
- কী করছেন হিট অফিসার
- সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৪ জনের মৃত্যু
- ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ওপর যে কারনে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- আগামী দিনে হজ্ব ব্যবস্থাপনা আরও স্মার্ট হবে: ধর্মমন্ত্রী
- পদ্মা ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ
- রাজধানীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- তাপপ্রবাহের সড়কে কৃত্তিম বৃষ্টি
- "পরিষ্কার ধারণা ছিলো, বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না"
- ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে গেলেন প্রধানমন্ত্রী
- প্রাইম ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে
- বৃষ্টির সম্ভাবনা তবে অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহও