thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল 24, ৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ১০ শাওয়াল 1445

‘স্কুল থেকেই ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতনতা শুরু করতে হবে’

২০১৯ অক্টোবর ১৬ ১৩:৪৪:৩৬
‘স্কুল থেকেই ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতনতা শুরু করতে হবে’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্কুল জীবন থেকে ট্রাফিক আইন বিষয়ে সচেতন হতে হবে। প্রতিটি স্কুলে এই শিক্ষাটা দেওয়া দরকার। বুধবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ঢাকা-কুড়িগ্রাম-ঢাকা রুটের আন্তঃনগর ট্রেন চালুসহ নবনির্মিত বেশ কয়েকটি সেতু ও সড়কের উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন তিনি।

সড়ক ব্যবহারে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সড়ক উন্নয়ন করছি। তবে সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলকে একটু সচেতন হতে হবে। নিরাপদ সড়কের কথা আমরা বলছি। ইতোমধ্যে নিরাপদ সড়ক আইনও আমরা প্রণয়ন করেছি। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ যারা চলাচল করেন, তারা কিন্তু মোটেও সচেতন না।’

তিনি বলেন, আপনাদের সড়ক ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। রাস্তায় যারা গাড়ি, মটরসাইকেল চালাবেন, বাস-ট্রাক চালাবেন তাদেরও সচেতন হতে হবে। কারণ অনেক সময় অহেতুক প্রতিযোগীতা করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে সবাইকেই সচেতন হতে হবে। দায়িত্বশীল হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা দুর্ঘটনা ঘটলে শুধুমাত্র চালককে দায়ী করলে চলবে না বরং কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটলো তার জন্য যিনি পথচারী, দুর্ঘটনা কবলিত যে চালক তাদেরও কী ভুল আছে সেটাও দেখা দরকার।’

উন্নয়নের নানা চিত্র তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে এমনভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করছি যাতে অল্প সময়ে মানুষ এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে যোগাযোগ করতে পারবে। জেলা থেকে ইউনিয়ন রাজধানী ঢাকা থেকে জেলাগুলোসহ সারাদেশে একটি সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছি যার শুভফল আপনারা পাচ্ছেন।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবদানকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা যখন এ দেশকে স্বাধীন করেন, তখন ৮২ ভাগের উপর মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করতো। যোগাযোগের ব্যবস্থা বলতে তখন নৌকা ছাড়া কিছুই ছিল না। রাস্তাঘাট-পুল-ব্রিজ ছিল না। একমাত্র জলপথই ছিল ভরসা।’

বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যে নিরাপত্তা ছিল না। শিক্ষা চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না। এই শোষিত বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই জাতির পিতা এই দেশ স্বাধীন করেন। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। এবং সড়ক যোগাযোগ পুনর্বাসনসহ প্রতিটি মানুষের পুনর্বাসনের চেষ্টা করেন তিনি। উপহার দেন সংবিধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে এই বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে পুনরায় চেষ্টা করি। এর ফলে স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পায়। জীবনমান উন্নত হয়। রাস্তা ঘাট রেল, সড়ক সেতু সবকিছুর উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করি।’

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে যখন সরকার গঠন করে ২০০৮ সাল থেকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এখন পর্যন্ত সরকারে আছি। যার ফলে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নত হচ্ছে। দারিদ্রের হার ২১ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। শিক্ষার হার প্রায় ৭২ ভাগের উপরে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। ৯৩ ভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা মানুষের সেবা করে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহ-গফরগাঁও টোক সড়কে বানার নদীর উপর সেতু, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ইন্দ্রপুল থেকে চক্রশালা পর্যন্ত বাঁক সরলীকরণ। সাতক্ষীরা শহর বাইপাস সড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় ৪ লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভার, মুন্সিগঞ্জের ঝুঁকি সেতুসমহ স্থায়ী কংক্রিটের সেতু প্রতিস্থাপন উদ্বোধন করেন।

এছাড়াও ঢাকা-কুড়িগ্রাম-ঢাকা রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালু এবং রংপুর এক্সপ্রেস ও লালমনিরহাট এক্সপ্রেসের রাক প্রতিস্থাপন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ১৬,২০১৯)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর